বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্রিকেটের (Cricket) সঙ্গে বলিউডের (Bollywood) এক অদ্ভূত মেলবন্ধন রয়েছে। শর্মিলা ঠাকুর-মনসুর আলি খান পতৌদি, আজহারউদ্দিন-সঙ্গীতা বিজলানি থেকে পরবর্তীতে বিরাট কোহলি-অনুষ্কা শর্মা, কে এল রাহুল-আথিয়া শেট্টির মতো জুটি তৈরি হয়েছে যুগের পর যুগ ধরে। তবে অনেক সম্পর্ক যেমন চিরকালীন বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, তেমন অনেক সম্পর্ক আবার মাঝপথেই হারিয়ে গিয়েছে। এমনি এক কাহিনি জড়িয়ে রয়েছে মাধুরী দীক্ষিতের (Madhuri Dixit) জীবনের সঙ্গেও।
বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ মাধুরীর সৌন্দর্যে ঘায়েল হয়নি এমন পুরুষ, নারীর সংখ্যা হাতে গোনা। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ক্লাসিক বিউটিদের মধ্যে একজন তিনি। আজ এত বছর পরেও মাধুরীর গ্ল্যামার দেখার মতো। তাঁর এত জনপ্রিয়তার কারণও রয়েছে। শুধু রূপ ধুয়ে জল খাননি তিনি। অভিনয় থেকে নাচ, তাঁর প্রতিভা প্রকাশিত হয়েছে সব ক্ষেত্রেই।
এহেন মাধুরীর প্রেমে যখন সবাই হাবুডুবু খাচ্ছেন, তখন অভিনেত্রীর মনের দখল নিয়ে বসেছিলেন এক বিশেষ ব্যক্তি। তিনিও একজন তারকা। তবে বিনোদন জগতের নয়, ক্রীড়া জগতের। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক অজয় জাদেজার (Ajay Jadeja) প্রেমে পড়ে কার্যত দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়েছিলেন মাধুরী। তাঁকে পেতে সবকিছু ছেড়ে দিতে রাজি ছিলেন তিনি।
এক বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে দুজনের আলাপ বলে জানা যায়। প্রথম আলাপের পরেই মাধুরীর সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে অজয়ের। বন্ধুত্ব প্রেমে বদলাতে বেশি সময় লাগেনি। শোনা গিয়েছিল, অজয় নাকি বলিউডে পা রাখতে চাইছিলেন। আর এজন্য একাধিক জায়গায় আক্ষরিক তাঁর নামও নাকি সুপারিশ করেছিলেন মাধুরী।
আক্ষরিকঅর্থেই তারকা ছিলেন অজয় জাদেজা। গুজরাটের রাজ পরিবারের ছেলে ছিলেন তিনি। তাঁর বাবার ঠাকুরদা ছিলেন রাজা রণজিৎসিং, যাঁর নামে রয়েছে রণজি ট্রফি টুর্নামেন্ট।
এমন অভিজাত পরিবারের ছেলের সঙ্গে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মাধুরীর মেলামেশা ভাল চোখে দেখেনি অজয় জাদেজার বাবা মা। এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন তাঁরা প্রথম থেকেই। বোধকরি বিধাতারও ইচ্ছা ছিল না মাধুরী আর অজয় এক হন। কারণ সবকিছু ঠিক করার সময় পাওয়ার আগেই ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে ফেঁসে যান অজয় জাদেজা।
১৯৯৯ সালের ওই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। অজয় জাদেজার বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছিল জনতা। পাঁচ বছরের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ব্যান করে দিয়েছিল তাঁকে। যদিও চার বছর পর দিল্লি হাইকোর্টের তরফে ব্যান তুলে নেওয়া হয়, কিন্তু ততক্ষণে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে।
অজয়ের নাম বিতর্কে জড়াতেই মাধুরীর পরিবার বেঁকে বসেছিল এই সম্পর্ক নিয়ে। সে সময়ে অভিনেত্রীর আলাপ হয় এনআরআই চিকিৎসক শ্রীরাম নেনের সঙ্গে। কম সময়ের মধ্যেই তাঁকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন মাধুরী। ১৯৯৯ সালে বিয়ে করে আমেরিকা পাড়ি দেন তিনি। এখন দুই ছেলে, স্বামী সংসার নিয়েই রয়েছেন মাধুরী।