বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটকে এইচডি দেবেগৌড়া এর জনতা দল সেকুলার (JDS) আর আর কংগ্রেসের জোট সরকারের আবারও মুশকিলে পড়েছে। কর্ণাটকের শাসক দল জেডিএস-কংগ্রেসের জোটের ১৪ জন বিধায়ক বিধানসভা স্পীকারের কাছে তাঁদের ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। আর এই কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন সরকার সংকটে পড়েছে। এবার কর্ণাটকের ছায়া কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, রাজ্যের অনেক কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছে।
শনিবার হরিয়ানার গুরগাঁও জেলায় একটি প্রেস মিটিং এর সময় শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, ‘ কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ক আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে। কিন্তু আমরা বিধায়কদের ভেঙে সরকার গড়তে চাইনা।” শিবরাজ সিং এর এই বয়ানের পর মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে ভুমিকম্প উঠেছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, বিজেপির অনেক নেতা মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকার হওয়ার পর থেকেই দাবি করছে যে, কমল নাথ পাঁচ বছর সরকার চালাতে পারবে না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং বলেছিলেন যে, এই সরকারের কোন গ্যারান্টি নেই। যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলেছেন যে, বিজেপির বিধায়ক ভেঙে সরকার গড়ার কোন ইচ্ছে নেই। কংগ্রেসের বিধায়কেরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি করে সরকার ভেঙে দেবে।
মধ্যপ্রদেশে ২৩০ টি বিধানসভা আসন, ২০১৮ সালে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সেখানে ১০৯ টি আসন আর কংগ্রেস ১১৪ টি আসন পেয়েছিল। দুটি আসনে বিএসপি, একটি আসনে সমাজবাদী পার্টি, আর চারটি আসন নির্দলীয়দের কাছে গেছিল। মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি আর নির্দলীয় বিধায়কদের দয়ায় চলছে।