‘পরের জন্মেও আপনার ভক্ত হব গুরুজী’, ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে চিঠি লিখে স্ত্রীকে গুলি করে নিজে আত্মঘাতী প্রৌঢ়

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভাগ্যেশ্বর ধাম ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর (Dhirendra Shastri) বিভিন্ন কাজ ঘিরে বিগত কয়েক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে দেশ জুড়ে। এরই মধ্যে তাঁকে ঘিরে আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত নন। গত শনিবার মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় এক কাপড় ব্যবসায়ী স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাঁদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে। সেটির মাধ্যমে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ওই ব্যবসায়ীর নাম সঞ্জয় শেঠ। তিনি আবার ভাগ্যেশ্বর ধামের একজন শিষ্য। মধ্যপ্রদেশের পুলিশ সুপার ধর্মরাজ মীনা বলেন, শনিবার দুপুর ২টো থেকে ৩টের মধ্যে তাঁর কাছে একটি খবর আসে। একজন হীরে ও কাপড় ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রী গুলির আঘাতে নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে দু’জনের মৃত্যুই গুলির আঘাতে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এমন হয়ে থাকতে পারে। যদিও তদন্ত হচ্ছে। এর জন্য ঘটনাস্থলে কুকুর ও ফরেন্সিক দল নিয়ে যায় পুলিশ।

death

ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি কোতয়ালি থানা এলাকায় বলে খবর। সেখানে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও থাকেন। ঘটনার সময় স্বামী-স্ত্রী একটি ঘরে ছিলেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে ভাগ্যেশ্বর ধামের নাম রয়েছে। তাতে লেখা,’গুরুজী, আমি দুঃখিত। পরের জন্মেও আপনার কট্টর ভক্ত হয়ে জন্মাতে চাই।’ নিহত সঞ্জয় শেঠ ঘটনার আগে একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি কেঁদে কেঁদে যাঁরা তাঁর থেকে টাকা নিয়েছিলেন তাঁদের নাম নিচ্ছেন।

Bhagweshwar Dham Maharaj live demo

ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “দয়া করে আমার বাচ্চাদের জন্য আমার টাকা ফেরত দিন। ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকায় আমার মেয়ের বিয়ে দেবেন। তাঁর অ্যাকাউন্টেও টাকা আছে। তাঁর ২৯ লক্ষ টাকা লকারে রাখা আছে। আমার স্ত্রী ও আমি এবার চললাম।” তিনি বলেন, এভাবে তিনি বাঁচতে পারছেন না। মেয়ের জন্য গয়নার রেখে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এরপর নিজের সন্তানদের কাছেও ক্ষমা চেয়ে নেন।

পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ এলাকায় নিজের স্ত্রী মিনুর সঙ্গে থাকতেন সঞ্জয় শেঠ। ঘটনার সময় দু’জনেই বাড়ির দোতলায় ছিলেন। গুলির আওয়াজ শুনে পরিবারের বাকি সদস্যরা তড়িঘড়ি উপরে যান। গিয়ে দেখেন, মীনুর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। সঞ্জয় তখনও বেঁচে ছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনিও মারা যান। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে এটি ঘরোয়া বিবাদের জেরেই ঘটেছে। তবুও তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় কোনও বহিরাগত জড়িত রয়েছে বলে আপাতত মনে করছে না পুলিশ। যদিও সব রকম দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর