বাংলাহান্ট ডেস্ক : বহুদিন ধরেই দেশে দুই সন্তান নীতির দাবীতে সোচ্চার বিজেপি। ইতিমধ্যেই অসমে দুই সন্তান নীতি চালুও করেছে সে রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকার। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে মিলবে না কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধাই। এবার এই দুই সন্তান ইস্যুতে তোলপাড় মধ্যপ্রদেশও।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার এক বিধায়ক ২০০০ সালের একটি আইনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সেই বিশেষ আইনটিতে বলা ছিল যে ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারির পর যদি কোনও শিক্ষা দপ্তরের কর্মী বা শিক্ষকের তৃতীয় সন্তান হয় তাহলে সেই কর্মচারী বা শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এতদিন অবধি নির্দেশিকাটি ধামাচাপা থাকলেও বিধায়ক প্রসঙ্গটি তোলার পরই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
এই আইন মেনে কার্যতই রাতারাতি শিক্ষা দপ্তরের ৯৫৫ জন কর্মী এবং শিক্ষককে শোকজ করা হয় দুইয়ের অধিক সন্তান থাকার অপরাধে। তবে উল্লেখ্য, এখনও অবধি এই শোকজের উত্তর দিয়েছেন মাত্র ১৬০ জন। নানাবিধ তাঁদের উত্তরও। ওই ১৬০ জনের মধ্যে অধিকাংশই জানিয়েছেন তাঁরা এই আইনের আগেই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন রাজ্যে কোনও এইরকম আইন ছিল না। পরে আইনটি লাগু হলেও সেই খবর কেউ দেয়নি তাঁদের। অনেকের আবার বক্তব্য, ২ সন্তানের পরই বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন করিয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই অপারেশনের ক্রুটির জন্যই যা হবার হয়েছে। কেউ কেউ আবার নিজের সন্তানকেই অন্যের বলে দাবি করে বসেছেন। বেশ কিছু কর্মচারী এবং শিক্ষকের দাবি, তাঁদের তৃতীয় সন্তানকে দত্তক নিয়েছেন আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কেউ। যদিও এই সংক্রান্ত কোনও নথিই দেখাতে পারেননি তাঁরা।
স্বভাবতই, এহেন ঘটনায় তুমুল শোরগোল সেরাজ্যে। হঠাৎ করে এমন আইনের আমদানিতে যে চরম ক্ষুব্ধ মধ্যপ্রদেশের শিক্ষক এবং শিক্ষা দপ্তরের কর্মীরা তা বলাই বাহুল্য। তবে তাঁদের দেখানো সব অদ্ভুত কারণ কি বাঁচাতে পারবে তাঁদের চাকরি, নাকি দুইয়ের বেশি সন্তান থাকার অপরাধের মাসুল গুনতেই হবে তাঁদের, সেটাই এখন দেখার।