বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্য প্রদেশের রতলাম জেলার সুরানা গ্রামের কয়েকটি হিন্দু পরিবার মুসলিমদের উপর অত্যাচারের কাহিনী বয়ান করে সেখান থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেছে। হিন্দু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মুসলিমরা হুমকি দেয়। অত্যাচার করে। এই নিয়ে তাঁরা মঙ্গলবার জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপিও পেশ করেন। হিন্দুরা জেলা শাসকের কাছে জানিয়েছে যে, তারা তিন দিনের মধ্যে তাদের বাড়ি, খামার এবং সম্পত্তি ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। এরপর বুধবার গ্রাম পরিদর্শনে জান রতলাম জেলার জেলা শাসকের। মধ্য প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, এই বিষয়ে এসপির কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
সুরানা গ্রামের মোট জনসংখ্যা দুই হাজারের একটু বেশি। এর মধ্যে ৬০% মুসলমান এবং ৪০% হিন্দু। এই গ্রামটি বিলপাঙ্ক থানার অন্তর্গত। বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার তাঁরা এসডিএম অভিষেক গেহলটের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে নিজের সমস্যার কথা জানান।
এসডিএম অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দশরথ, মুকেশ জাট, ভরতলাল জাট জানান… গ্রামে বহু প্রজন্ম ধরে হিন্দু-মুসলিম বসবাস করে আসছে। গত দুই-তিন বছরে হিন্দু যুবকদের উপর লাঞ্ছনা, হামলা, প্রতারণা ও ভয় দেখানোর ঘটনা বেড়ে চলেছে। শুধুমাত্র হিন্দু যুবকদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা এফআইআর করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী হিন্দুদের অভিযোগ, মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি এবং এ কারণে হিন্দুদের ভয় দেখানো হচ্ছে। পুলিশ অ্যাকশনের নামে অহেতুক উভয় পক্ষকে হয়রানি করে। সম্প্রতি ঝগড়া হলে এসপি তাঁদের বাড়ি ভাঙার, রাসুকা চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এসপি গৌরব তিওয়ারি সম্প্রতি শান্তি কমিটির বৈঠক করে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। গ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
হিন্দুদের বাড়ির বাইরে লেখা আছে তারা দেশান্তরী হচ্ছে, বাড়ি বিক্রি করতে চায়। গ্রামের সুরেশ পাঞ্চাল, বিনোদ জাট বলেন… সমস্যা বলার আর কোনো উপায় নেই। যদিও এসপি বলছেন, মুকেশকে মারধর করা হয়েছিল, এই নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।