বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) দুই দিন ধরে জারি রাজনৈতিক নাটকে কমলনাথ (Kamal Nath) সরকারের মুশকিল বেড়েই চলেছে। শোনা যাচ্ছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং এর সাথে মিলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করে নিয়েছেন। কিন্তু বুধবার দুপুরের পর রাজ্য রাজনীতি আবারও পাল্টে যায়। তিনদিন থেকে নিখোঁজ কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক হরদীপ সিং ডাং বিধানসভার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। যদিও এখনো পর্যন্ত ওনার ইস্তফা স্বীকার করেনি বিধানসভার স্পীকার।
কংগ্রেস বিধায়ক হরদীপ সিং ডাং নিজের ইস্তফা বিধানসভার স্পীকার এবং মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের কাছে পাঠিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে যে, আজ রাত অথবা কালকে আরও কয়েকজন বিধায়ক ইস্তফা দিতে পারেন। কংগ্রেসের যেসব বিধায়ক ইস্তফা দিতে পারেন তাঁদের নাম হল, এদেল সিং কনসানা। রঘুরাজ কনসানা। রণবীর যাদব। কমলেশ যাদব। বিসাহুলাল। গোপাল সিং এবং বিক্রম সিং তানিরাজা।
মধ্যপ্রদেশের ২৩০ টি আসনের মধ্যে ২০১৮ এর নির্বাচনে কংগ্রেস সবথেকে বড় দল হয়ে উঠে এসেছিল। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস ১১৪ টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু তবুও তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে ছিল। এছাড়াও বিজেপি ১০৯ টি আসন পেয়েছিল। নির্দলীয় চারজন বিধায়ক এবং সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছিল। কংগ্রেস নির্দলীয় এবং সপা, বসপার সমর্থনে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়তে সফল হয়। ১২০ টি আসন নিয়ে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। আরেকদিকে ১০৯ টি আসন নিয়ে লাগাতার কংগ্রেসের ঘারে নিঃশ্বাস ফেলে আসছিল বিজেপি।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১১৬ টি আসন। কংগ্রেসের ১২০ টি বিধায়কের মধ্যে একজন গতকাল ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। আরও সাতজন বিধায়ক যাঁদের ইস্তফা দেওয়ার প্রবণতা চরম। তাঁরা যদি ইস্তফা দেন তাহলে কংগ্রেসের সমর্থনে মাত্র ১১২ টি আসন হয়ে যাবে। তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। আর সরকারও পড়ে যাবে।