বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যে চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে মরিয়া রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু এতকিছু করেও শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার পৌনে এগারোটা নাগাদই স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল ইংরাজির প্রশ্ন পত্র।
ফাঁস হওয়া প্রশ্নটিতে দেখা যাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। আনসিন প্যাসেজ, গ্রামার ইত্যাদি মিলিয়ে বেশ কিছু নম্বরের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায় পরীক্ষা শুরুর আগেই। যদিও ছবিটি এবছরের প্রশ্নপত্রের কি না সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। একমাত্র পরীক্ষা শেষ হলে তবেই বোঝা যাবে সত্যি মিথ্যে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ পুরো ব্যাপারটিকে অস্বীকার করেছে। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, যে প্রশ্ন পত্রের ছবি ফাঁস হয়েছে এটি একেবারেই ভুয়ো।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির জেরে শেষবার অফলাইনে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছিল ২০২২ সালে। তারপর ২ বছর পর এবার আবারও স্কুলে গিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছে পড়ুয়ারা। ২০২০ সালের মাধ্যমিকে ফাঁস হয়েছিল প্রতিটি দিনেরই প্রশ্নপত্র। তাই এবার তা এড়াতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে সরকার। কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। প্রশ্ন ফাঁস এড়াতে পরীক্ষার দিনগুলিতে একাধিক জেলায় বন্ধ সম্পূর্ণ ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু এত চেষ্টা করেও কি তবে শেষ রক্ষা হল না, আজকের ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পত্রে উঠছে এই প্রশ্নই।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এবার আত্মঘাতী হয়েছে একাধিক পড়ুয়া। কারও নেহাতই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার আতঙ্ক, কারও আবার পরীক্ষা খারাপ হওয়ার দুঃখ। আপাত সামান্য এই কারণ গুলিতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তারা। মনোবীদদের অবশ্য দাবি, গত ২ বছর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে এবং পরীক্ষা দিয়ে আত্মবিশ্বাস সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছে পড়ুয়ারা। পড়েছে পড়াশোনার মানও। অনেকেরই নিয়মিত বই নিয়ে পড়তে বসার অভ্যেস ঘুচেছে লকডাউনে। ফলে মাথার উপর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার খাঁড়া নেমে আসায় সেই চাপ কিছুতেই নিতে পারছে না তারা। এই ভয়াবহ সমস্যার সমাধান কী তা নিয়েই এখন মাথায় হাত ওয়াকিবহাল মহলের।