OMG! ভয়ঙ্কর! এখনও ভারতে রয়েছে Vampair’রা! সত্যিই? চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জানলে আঁতকে উঠবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভ্যাম্পায়ার (Vampair) বা রক্তচোষা নামটা শুনলেই আমরা ফিরে যাই ছোটবেলায়। ব্রাম স্ট্রোকারের কাউন্ট ড্রাকুলার(Dracula) গায়ে কাঁটা দেওয়া কাহিনী আজও রোমাঞ্চিত করে ৮ থেকে ৮০ সবাইকে। ব্রাম স্ট্রোকারের ড্রাকুলার বাস ছিল পেনসিলভ্যানিয়ায়। সেখান থেকে আমাদের মনে একটা বিশ্বাস গেঁথে গেছে যে ড্রাকুলা আদতে এক বিদেশী!

ভারতে ভ্যাম্পায়ারের (Vampair) ভয় ধরানো কাহিনী

তবে জানলে অবাক হবেন বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে ভারতীয় উপমহাদেশই হল ড্রাকুলার উৎসস্থল। আমাদের দেশ ভারতবর্ষেই প্রথম সন্ধান মিলেছিল রক্তচোষার। স্ত্রীর মৃত্যুর পর রাগে দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে কাউন্ট ড্রাকুলা ধারালো তরবারি বসিয়েছিল যীশুর ক্রুশে। সেই সময় সে আর ঈশ্বরবিশ্বাসী নয়। সেই পাপের ফলে রক্ত ধারা বইতে শুরু করে ক্রুশ থেকে।

vampire 02 1667560804342 1667560811295 1667560811295

ক্রুশের রক্ত পান করে ড্রাকুলা। তারপর থেকে নিজের রিক্ত মন পূর্ণ করার জন্য ড্রাকুলার জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে রক্ত পান। ভারতীয় (India) সমাজে আবার রক্ত চোষার ধারণাটা একটু অন্যরকম। ভারতীয় উপমহাদেশে মূলত মহিলা রক্ত চোষার কথা প্রচলিত রয়েছে। আবার বেতাল পঞ্চবিংশতি-তে উল্লেখ করা রয়েছে বাদুরের মতো গাছে ঝুলে থাকা বেতাল রূপীদের। এরা মানুষের রক্ত ও মাংসে নিজেদের জীবন রক্ষা করে থাকে।

আরোও পড়ুন : সিরিয়ালকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য! অহংকারে ফুটছেন বনি, সমালোচনার মুখে পড়তেই সাফাই ‘লিডিং মোস্ট হিরো’র

সালটা ২০১১। সেই সময় মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) দীপা আহিরওয়ার দাবি তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল চারদিকে। দীপা জানান যে তার স্বামী নিয়মিত তার রক্ত পান করেন! তবে দাঁত বসিয়ে নয়, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত টেনে পান করেন দীপার স্বামী। থানায় অভিযোগ জানিয়ে দীপা বলেন, রক্ত পান করলেই তার স্বামী সজীব থাকেন। যদি রক্ত পান না করেন তাহলে নাকি দুর্বল হয়ে পড়ে তার স্বামীর শরীর। ঠিক যেমনটা ঘটে ভ্যাম্পায়ারদের সাথে।

Vampair

এমনকি এখনো ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এমন মানুষদের দেখা যায় যারা অর্থ উপার্জনের জন্য সবার সামনে বিভিন্ন পশু-পাখি হত্যা করে তাদের রক্ত ও মাংস খেয়ে থাকে। এই ধরনের গা শিউরে ওঠার মতো  ঘটনা এখনো ঘটে চলে ভারতে। এরা সত্যি ভ্যাম্পায়ার (Vampair) নাকি অন্য কিছু সেই নিয়ে অবশ্য যুক্তি-তর্ক চলতেই থাকবে, তবে এদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ তাই না?


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর