অতি লোভে পুড়ল কপাল! হাই কোর্টের এক রায়ে মাথায় বাজ সরকারি কর্মীদের!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাজ করাতে হলে দিতে হবে ঘুষ! মাঝেমধ্যেই বহু সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। এদিকে ঘুষের টাকা দিতে গিয়ে অনেক সময় নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এবার এমনই একটি মামলায় বিরাট নির্দেশ দিল হাই কোর্ট (Madras High Court)। যার ফলে ‘ঘুষ’ নেওয়ার আগে দশবার ভাববেন সরকারি কর্মীরা!

একজন সরকারি কর্মীর (Government Employees) আয়ের নিরিখে সম্পত্তির পরিমাণে অসঙ্গতি ছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে মামলাহয় আদালতে। তাতে অভিযুক্ত সরকারি কর্মীর স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অপরাধের অংশীদার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই সরকারি কর্মচারীর স্ত্রীকেই দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করলেও সুরাহা হল না। বরং সেই আবেদন খারিজ করে দিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট।

২০১৭ সালে শক্তিভেল নামের একজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তা নিয়ে মামলা (Corruption Case) শুরু হয়। মামলা চলাকালীনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শক্তিভেল। এবার সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত করা হল শক্তিভেলের স্ত্রী দেবিনায়কিকে। মামলার অভিযুক্তদের তালিকাতেও নাম ছিল তাঁর।

আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়, পার্থর আরও সম্পত্তির খোঁজ পেল ED! এবার কত কোটি?

প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক শক্তিভেলের স্ত্রীকে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গত সম্পত্তির মামলায় এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানান তিনি। মাদ্রাস হাই কোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছিলেন দেবিনায়কি। কিন্তু তাতেও স্বস্তি পেলেন না। বিচারপতি কেকে রামাকৃষ্ণন সেই আর্জি খারিক করে দিয়েছেন।

দেবনায়কির এই আবেদনের প্রেক্ষিতে মাদ্রাজ হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যদি সরকারি কর্মীদের সহধর্মিণীরাও দুর্নীতির ভাগিদার হয়ে যান তাহলে তা কখনওই আটকানো সম্ভব হবে না। তাঁদের দায়িত্ব হল, স্বামী ঘুষ নিলে তাঁকে বারণ করা। কিন্তু সেটা না করে কেউ যদি ঘুষের টাকা ভোগ করে থাকেন তাহলে তিনিও সমান দোষী। তাঁকেও শাস্তি পেতে হবে।

Jammu and Kashmir High Court order on compassionate jobs for Government employee’s family

বিচারপতির কথায়, ‘এদেশে অকল্পনীয়ভাবে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে পড়ছে। ঘর থেকে শুরু এটি শুরু হয় এবং সরকারি কর্মীদের স্ত্রীরা যদি দুর্নীতির পক্ষে থাকেন তাহলে তার কোনও শেষ থাকে না। ঘুষের টাকায় দেবিনায়কির জীবন আরামদায়ক হয়ে উঠেছিল। তাই এবার তাঁকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর