বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী ও তাঁর বন্ধু মলয় মাকালকে খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। এরই মাঝে এ দিন সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে যান জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল এবং এলাকার বিধায়ক নমিতা সাহা। কিন্তু তাদের সামনেই এদিন নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল গ্রামবাসীদের।
এদিন তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মন্ডল এবং তৃণমূলের বিধায়ক নমিতা সাহা সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ তুলে দেন। এছাড়া সিভিক পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ার ফলে তার পরিবারের কোনো এক সদস্যকে যাতে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, সেজন্য নবান্নে সরকারিভাবে চিঠি পাঠানোর ঘোষণা করেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমা শাসক। কিন্তু এ সত্বেও এদিন নিহতের স্ত্রী বলেন, “আড়াই লাখ টাকা দিয়ে আমি কি করব? আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন।” জানা যাচ্ছে, এদিন মূল অভিযুক্ত জানে আলম এবং তার স্ত্রীসহ 6 জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মলয় মাকালের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসায়িক গোলমাল চলছিল জানে আলমের। সেইসঙ্গে জানে আলমের কাছ থেকে মলয় মাকাল প্রায় লাখের কাছাকাছি টাকা পেতেন বলেও স্থানীয়রা জানায়। আর এই বিষয়েরই মধ্যস্থতা করছিলেন বরুণ নামের ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। ফলে হত্যার দিন টাকা মেটানোর নাম করেই মলয় ও বরুণকে নিজের বাড়িতে ডেকে আনেন জানে আলম। পুলিশের সন্দেহ সেখানেই সেই দুজনকে প্রথমে গুলি করে পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।
এরই মাঝে রবিবার সকালে পথ অবরোধের চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা এবং পরে পুলিশ বাঁধা দিতে আসলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধস্তাধস্তি হলেও পরবর্তীতে লাঠি উঁচিয়ে জমায়েত সরিয়ে দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ যে এখনো বর্তমান রয়েছে, তা বলা বাহুল্য। বর্তমানে 6 জনকে গ্রেফতার করা হলেও থমথমে রয়েছে মগরাহাটের আমড়াতলা গ্রাম। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও যাতে ভবিষ্যতে কোনো রকম অশান্তি না হয়, সেই কারণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।