বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাজার হাজার ভক্তদের ভিড়ে গমগম করছে কুম্ভ মেলা। প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত এই বছরের কুম্ভ মেলার ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য অবশ্য অন্যবারের তুলনায় খানিক আলাদা। ১৪৪ বছর পর আগত এই মহাকুম্ভ (Maha Kumbh) এখনও পর্যন্ত শেষ না হলেও ইতিমধ্যেই মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা স্নান সেরেছেন প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ।
মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) বিশেষ আচার
মেলা চলবে ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ পর্যন্ত। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার যে, আজ অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি থেকে কুম্ভমেলায় (Kumbha Mela) শুরু হচ্ছে এক বিশেষ আচার। আর সেটা হল মহাকুম্ভে (Maha Kumbh) নাগা সাধুদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। এখন প্রশ্ন হল বিষয়টি ঠিক কি? চলুন আজকের প্রতিবেদনে সাধুদের এই বিশেষ আচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
নাগা সাধু নিয়োগের বিশেষ আচার: জানা গিয়েছে যে, সাতটি শৈব ও উদাসীন আখড়ায় মৌনী অমাবস্যার আগে নিয়োগ করা হবে নতুন নাগা সাধুদের (Naga Sadhu)। আজ থেকে এই আচার-অনুষ্ঠান জুনা শুরু হচ্ছে আখড়ায়। মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) ধর্মীয় প্রথা মেনে, ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব দিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে নাগা সাধু হতে ইচ্ছুক সাধুদের। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১৮০০ সাধু নাগা সন্ন্যাসী হিসাবে দীক্ষা নেবেন।
আরোও পড়ুন : ‘একটা অদৃশ্য হাত রয়েছে’, কার দিকে আঙুল? রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে বিস্ফোরক তিলোত্তমার বাবা-মা
এটি কী ধরণের দীক্ষার প্রক্রিয়া: এই দীক্ষার প্রক্রিয়াটি চলবে আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রথমে অন্ন জল কিচ্ছু গ্রহণ না করে আখড়ার ধর্মীয় পতাকার নীচে ২৪ ঘণ্টার তপস্যা করবেন সাধুরা। এরপর অমৃতস্নান করার জন্য গঙ্গায় দিতে হবে ১০৮ বার ডুব। অমৃতস্নানের পরে অনুষ্ঠিত হবে ক্ষৌরকর্ম, বিজয় হবন ও যজ্ঞ। আচার্য মহামণ্ডলেশ্বরের হাতে সন্ন্যাসে দীক্ষা গ্রহণের পরেই তারা নাগা সাধু হিসেবে পরিচিত হবেন।
শেষে ১৯ জানুয়ারি সকালে তারা কটিবস্ত্র খুলে দিগম্বর রূপ ধারণ করবেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, নাগা সাধুদের পোশাকহীন দিগম্বর জীবনধারণ অথবা নির্দিষ্ট পোশাক পরে থাকা ছাড়াও বিকল্প উপায় থাকে। অর্থাৎ যারা পোশাক পরিধান করেন, তাঁরা শুধুমাত্র অমৃতস্নানের সময় দিগম্বর রূপে গঙ্গাস্নান করেন। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে দীক্ষা সম্পন্ন হবে মহানির্বাণী, নিরঞ্জনী, অটল, অগ্নি, আবাহন সহ উদাসীন আখড়াগুলিতে ।