নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya Case) চার অপরাধী মুকেশ, বিনয়,পবন ও অক্ষয় নামের ৪ জন অমানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। একজন অপরাধী মহাম্মদ আফরোজ আগেই নাবালক হওয়ার বাহানা দিয়ে ছাড়া আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। জানিয়ে দি, মহম্মদ আফরোজ সেই কট্টরপন্থী অমানুষ যে নির্ভয়াকে দিদি বলে সম্বোধন করে বাসে চড়িয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, নাবালক হওয়ার বাহানা দিয়ে কট্টরপন্থী মহম্মদ আফরোজকে আদালত আগেই মুক্তি দিয়েছে।
তবে বাকি ৪ জন অমানুষকে শেষমেষ আদালত ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দেয়। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি এই রায়কে পাল্টানোর জন্য কিছু তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন বহু প্রয়াস চালিয়েছিল যা দেশবাসীর চাপে অসফল হয়ে পড়ে।
৪ জনের উকিল ফাঁসি আটকানোর জন্য ভরপুর প্রয়াস করেছিল। একেবারে অন্তিম রাত অবধি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এবং শুনানির শেষ মুহূর্তেও দেশের আদালত ৪ জন অপরাধীকে ফাঁসির সাজা শুনিয়ে দেয়। তবে মহম্মদ আফরোজ আজও দেশে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই ন্যায় যে পরিপূর্ণ হয়নি তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। জানিয়ে দি এই সে যে নির্ভয়ার শরীরে রড ঢুকিয়ে ছিল।
https://twitter.com/ippatel/status/1240803994139643904?s=19
বিচারক ভানুমতি ও বিচারপতি ভূষণ দারিন্ডোর আর্জি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং জল্লাদ পবন চার জনকে ২০ মার্চ সকাল ৫.৩০ এ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়। নির্ভয়ার মা আদালতের বিচারের উপর নিজের বক্তব্য রেখে সমস্থ দেশবাসীকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উনি বলেছেন শেষমেষ সমাজ ন্যায় পেল এবং ফাঁসির পর যে সূর্য উঠতে চলছে তা নির্ভয়ার নামে হবে। ফাঁসির পর জেলের বাইরে থাকা লোকজন হাততালি বাজিয়ে এর সমর্থন করে।
আজ ২০ মার্চ ২০২০ তারিখ ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে গেল। আজকের দিনে শেষমেষ নির্ভয়া কিছুটা হলেও ন্যায় পেল। ২০১২ সালে কিছু মানুষরূপী জানোয়ার নির্ভয়াকে নিজেদের নোংরা মানসিকতার শিকার বানিয়েছিল। নির্ভয়া নিষ্ঠুরতাকে সহ্য কররছিল এবং জীবন ত্যাগ করেছিল। এই মামলায় এবার দিল্লীতে ৪ জন অমানুষকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হল। জল্লাদ তিহাড় পরিসরে এই ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেশকে একটা বড় স্বস্তি দিল।