বাংলাহান্ট ডেস্ক: অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’এর (mahapith tarapith) টিম। চ্যানেল সেরা হওয়ার পাশাপাশি টিআরপি তালিকার তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে স্টার জলসার এই সিরিয়াল। ‘খড়কুটো’, ‘শ্রীময়ী’র মতো চ্যানেলের হিট সিরিয়ালকে টপকে অবশেষে সেরার স্থানটা অধিকার করে নিয়েছে এই সিরিয়াল। এ একরকম অসম্ভবকে সম্ভব করাই বটে।
বিষয়টা অসম্ভবের সমান ছিল আরো একটি কারণে। সাধক বামাক্ষ্যাপার (bamakhyapa) জীবনী নির্ভর ধারাবাহিক এর আগেও হয়েছে এবং সেখানে বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনেতা অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নিখুঁত অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন দর্শকরা।
সেখান থেকে নতুন করে অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার কাজটা একটু কঠিন ছিল বটে অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর (sabyasachi chowdhury) কাছে। মহাপীঠ তারাপীঠ সিরিয়ালে বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করার কোনো জায়গা নেই। আর সব্যসাচীকে যে বামা রূপে দর্শকেরা গ্রহণ করেছেন তা তো টিআরপি তালিকা দেখেই স্পষ্ট।
সব্যসাচীর কথায়, সবটাই মা তারার আশীর্বাদ। প্রথমে বেশ কিছু প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সিরিয়ালের টিমকে। তবে অভিনেতা বলেন, তারা মাকে স্মরণ করে একত্রে যে পরিশ্রম করেছেন তাঁরা তা বৃথা হতে পারে না। আর সেটাই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ালের পরিচালক শুভেন্দু চক্রবর্তী সব্যসাচীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তারা মায়ের চরিত্রে নবনীতা দাস, বামাক্ষ্যাপা সব্যসাচী এবং অঘোরেশ্বর ঠাকুরের ভূমিকায় গৌতম হালদার এঁরা তিনজনই সিরিয়ালের মূল আকর্ষণ। বিশেষত বামাক্ষ্যাপা ও অঘোরেশ্বর যেদিন মুখোমুখি হন সেদিন টিআরপি সর্বাধিক থাকে বলে দাবি করেন পরিচালক।
তিনি আরো জানান, সব্যসাচী বিশ্বাস করে তারা মা এর আশীর্বাদেই এই স্থান অর্জন করেছেন তাঁরা। সেই বিশ্বাসে ভর করেই সাঁতার না জেনেও ঝাঁপ দিয়েছেন গঙ্গায়। জোয়ার চলাকালীনও অভিনয় করেছেন। কিন্তু একটি আঁচড়ও লাগেনি তাঁর গায়ে। সব্যসাচীর বিশ্বাস, স্বয়ং তারা মায়ের আশীর্বাদ রয়েছে তাঁর সঙ্গে।