বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি (bjp) নেতা টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (narendra modi) ভগবান বিষ্ণুর একাদশ তম অবতার হিসাবে উল্লেখ করলেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
শুক্রবার মহারাষ্ট্র ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)র এক নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে “ভগবান বিষ্ণুর একাদশ অবতার” হিসাবে অভিহিত করে কার্যত ভগবান মর্যাদায় উন্নীত করেছে। মুখপাত্র অবধুত ওয়াঘ টুইটে স্পষ্টই জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি ভগবান বিষ্ণুর একাদশ অবতার।” টুইটে এর সাথে তিনি একটি সংস্কৃত শ্লোক যোগ করেছেন: ‘যদা যদা হি ধর্মস্য’
প্রসঙ্গত, শ্রীমদভগবদগীতায় উল্লিখিত ‘যদা যদা হি ধর্মস্য’ শ্লোকটির অর্থ, ভারতে যখন যখনই ধর্মের গ্লানি দেখা দেবে তখনই ভগবান অবতার রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়ে সাধুদের পরিত্রান ও দুস্কৃতিদের বিনাশ করবেন’।
Hon PM @narendramodi ji is the 11th #Avatar of Lord Vishnu
यदा यदा हि धर्मस्य…— Avadhut Wagh अवधूत वाघ (@Avadhutwaghbjp) October 12, 2018
তিনি আরো বলেন, হিন্দু দর্শন অনুসারে ৩৩ কোটি দেব দেবতা ও পঞ্চভূত (পৃথ্বি, অগ্নি, জল, বায়ু, আকাশ) সমস্ত সৃষ্টির মূলে৷ আমরা ভারত মাতাকেও দেবী বলে পুজো করি। আর তার প্রধান সেবক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আমাদের জন্য ভগবানের মতই। এই কারনের আমি তাকে ভগবান বিষ্ণুর একাদশতম অবতার চিহ্নিত করেছি।
জানিয়ে রাখি, ভারতীয় পুরাণ ও মিথে বিষ্ণুর দশ অবতারের উল্লেখ আছে। বৈষ্ণব দর্শনে, কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে মর্ত্যে অবতীর্ণ পরম সত্ত্বাকে অবতার নামে অভিহিত করা হয়। বিষ্ণুর (বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৃষ্ণের) দশ মুখ্য অবতারের সমষ্টিগত নামই দশাবতার।
এই দশাবতারের কথা জানা যায় গরুড় পুরাণ (১।৮৬।১০-১১) থেকে। এই দশ অবতার মানব সমাজে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তির ভিত্তিতে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হন।
দশাবতারের অধিকাংশই অভিহিত হন লীলা-অবতার নামে। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, প্রথম চার অবতারের আবির্ভাবকাল সত্যযুগ। পরবর্তী তিন অবতার ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ হন। অষ্টম ও নবম অবতারের আবির্ভাবকাল যথাক্রমে দ্বাপরযুগ ও কলিযুগ।
দশম অবতার কল্কির আবির্ভাব ৪২৭,০০০ বছর পর কলিযুগের অন্তিম পর্বে ঘটবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। বিষ্ণু পুরাণ–এও বলা হয়েছে, কল্কি অবতারের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই কলিযুগের সমাপ্তি ঘটবে। কল্কি দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করে এক নতুন সত্যযুগের সূচনা ঘটাবেন।