বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের রায় শোনার পরই ফড়নবিশ তার পদ থেকে ইস্তফা দেন। এদিকে মহারাষ্ট্রের মহা ভোট মিটার পর থেকেই তার ফলাফল ঘিরে যেমন ভারতের রাজনৈতিক মহলে একটা চাপানউতোর ছিল ফলাফল বের হওয়ার পরে দেখা যায় যে সেখানে সরকার করবার জন্য এমন অবস্থা যে কোন দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা এককভাবে প্রমাণ করতে পারছে না। আর সেখানেই শুরু হয় প্রথম বিপত্তি।
বিজেপি তার নিজের জায়গায় অনড় থেকে সরকার গড়বে বলে দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত তার রক্ষা করতে পারেনি। অন্যদিকে কংগ্রেস এনসিপি তাদের জোট সঙ্গী হিসেবে শিবসেনা কে নেওয়ার আর্জি জানায়। কিন্তু শিবসেনা প্রথমে বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলেও পরে তাদের দরজা খুলে দেয়। এবং বহুদিনের বাল্য সঙ্গী বিজেপিকে তারা ছেড়ে দিতেও পিছপা হয়না। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার জন্য তিনটি দলে এক হয়ে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের লক্ষ্যে বারবার নিজেদের বিধায়কদের এক জায়গায় করতে সমর্থ হয়। এর জন্য কম হোটেল বদল এর প্রয়োজন হয়নি। প্রচুর বার হোটেল বদল করে নিজেদের গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। অবশেষে সফল হয়েছে।
শিবসেনা-এনসিপি জোট সরকারে ফের অজিতই হতে চলেছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আহমেদ পাটেলের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের বৈঠকের পরেই উঠে এসেছে এই খবর। আগামিকালই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। সম্ভবত সেই মঞ্চেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন অজিত পাওয়ার।