বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রে একবার উদ্ধব সরকারের পতনের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সোমবার এমএলসি নির্বাচনে বিজেপি শিবসেনার নেতৃত্বাধীন এমভিএ জোটকে বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং মঙ্গলবার শিবসেনার দুই ডজনেরও বেশি বিধায়ক বিদ্রোহ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে তিন বছর আগে গঠিত মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার সমস্যায় পড়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মহারাষ্ট্রে বড়সড় খেলা হতে পারে। সিএম ঠাকরে আজ একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন, অন্যদিকে বিদ্রোহী বিধায়করাও প্রেস কনফারেন্স করে একটি বড় ঘোষণা করতে পারেন।
দুই ডজন শিবসেনা বিধায়ক গুজরাটের সুরাটের একটি হোটেলে একনাথ শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন। গতকাল থেকে শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তার। একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রের একজন সিনিয়র শিবসেনা নেতা এবং বর্তমানে ঠাকরে সরকারের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী। তার সঙ্গে ঠাকরে পরিবারের বিবাদ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি এও শোনা যাচ্ছে যে, একনাথ শিন্ডে এবং বাকি বিধায়করা দলের প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ফোন ধরছেন না। বলে দিই, সোমবার সন্ধ্যায় দুই ডজন শিবসেনা বিধায়ককে বিমানে করে সুরাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বিদ্রোহী বিধায়করা সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন
বিদ্রোহী বিধায়করা আজ বিকেলে সুরাটে বড় ঘোষণা করতে পারেন। এই বিধায়করা শিবসেনা নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। বলা হচ্ছে, নেতৃত্বে তাঁরা প্রতিনিয়ত অবহেলিত ছিলেন। শিবসেনার বিধায়কদের জন্য সুরাটের হোটেলের বাইরে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করছেন সিনিয়র নেতারা
শিবসেনার বিদ্রোহের খবরের মধ্যে সিএম ঠাকরে আজ বিকেলে দলের নেতা এবং বিধায়কদের একটি বৈঠক ডেকেছেন। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও তার বাসভবনে সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র এনসিপির সভাপতি জয়ন্ত পাতিল মাতোশ্রীতে গিয়ে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেছেন। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতও তাঁর দিল্লি সফর বাতিল করেছেন। আজ সন্ধ্যায় বিরোধী দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী সংক্রান্ত শরদ পাওয়ারের ডাকা বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।