বাংলাহান্ট ডেস্ক : সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) হামলাকারী হিসেবে তাঁকেই আটক করা হয়েছিল প্রথমে। অভিনেতার বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছিল সেই ব্যক্তি তিনিই, এমনটাই দাবি করে আটক করেছিল মুম্বই পুলিশ। তাঁদের একটি ভুলে সর্বস্ব হারালেন মহারাষ্ট্রের কোলাবার বাসিন্দা আকাশ কৈলাশ কানোজিয়া। চাকরি, বিয়ে সব খুইয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসার জোগাড় হয়েছে তাঁর।
সইফের (Saif Ali Khan) হামলাকারী হিসেবে ভুল সন্দেহ
গত ১৬ ই জানুয়ারি নিজের বাড়িতে ছুরিকাহত হন সইফ। আর ১৮ ই জানুয়ারি ৩১ বছর বয়সী কানোজিয়াকে আটক করে মুম্বই পুলিশ। সে সময় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে মুম্বই থেকে বিলাসপুর যাচ্ছিলেন তিনি। আরপিএফ এর মাধ্যমে তাঁকে আটক করে মুম্বই পুলিশ। তাঁর ছবিও হামলাকারী (Saif Ali Khan) হিসেবে ছড়িয়ে দেওয়া হয় গণমাধ্যমে। এর জেরে সর্বস্ব খুইয়েছেন কানোজিয়া।
কী ঘটে যুবকের সঙ্গে: সংবাদ মাধ্যমকে যুবক জানান, ১৭ ই জানুয়ারি মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক তাঁকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কোথায় আছেন। তিনি বাড়িতে আছেন শুনে ফোন কেটে দেন ওই আধিকারিক। তার পরের দিন অসুস্থ ঠাকুমার সঙ্গে দেখা করতে পৈতৃক বাড়ি নেহলায় যাচ্ছিলেন কানোজিয়া। মাঝে বিলাসপুর স্টেশনে ট্রেন বদলানোর কথা ছিল তাঁর।
আরো পড়ুন : নতুন ষড়যন্ত্রে দৃষ্টি হারাল ‘ফুলকি’! কীভাবে হারাবে শালিনীকে? হু হু করে চড়বে TRP
পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ: এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ দুর্গ স্টেশনে ট্রেন পৌঁছালে কানোজিয়াকে আটক করে আরপিএফ। সইফের (Saif Ali Khan) উপরে তিনিই হামলা করেছেন সন্দেহ করে রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ১২ ঘন্টা পর সেখানে আসে মুম্বই পুলিশের একটি দল। আরো তদন্তের জন্য তাঁকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তাঁরা। কানোজিয়া সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, হামলার ঘটনায় তাঁর যে কোনো যোগ নেই তা পুলিশকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন তিনি। দিতে চেয়েছিলেন প্রমাণ। কিন্তু কেউ তাঁর কথা কানে তোলেনি।
আরো পড়ুন : স্মৃতি হারাবে রাই, অনির্বাণের সঙ্গে মিলন দিয়েই শেষ হবে ‘মিঠিঝোরা’! অন্তিম লগ্নে মেগা চমক
এর পরেই থাকে থেকে বাংলাদেশি শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ দাবি করে তিনিই আসল হামলাকারী। ছেড়ে দেওয়া হয় কানোজিয়াকে। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। যুবক জানান, হামলাকারী (Saif Ali Khan) হিসেবে তাঁর ছবি ভাইরাল হওয়ায় চাকরি চলে গিয়েছে তাঁর। আসল কথাটা বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। এমনকি তাঁর যেখানে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তাঁরাও নিউজ চ্যানেলে ছবি দেখে ভেঙে দিয়েছেন বিয়ে। আর কখনও বিয়ে হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ওই যুবক। একই সঙ্গে তাঁর চাকরি চলে যাওয়ায় পরিবারের কী হাল হবে তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কানোজিয়া।