বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশে করোনা ভাইরাসের সঙ্কট লাগাতার বেড়েই চলেছে। আর এই ভাইরাসে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে মহারাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের (maharashtra) লকডাউন আরও বাড়বে সেটাতে কোন সন্দেহ নেই। আরেকদিকে করোনার সঙ্কটের মধ্যে মহারাষ্ট্রের (maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) কুরসি নিয়েও বড় সংশয় দেখা দিয়েছে। উনি বর্তমানে রাজ্যে কোন সদনেরই সদস্য নন। উনি না বিধায়ক, না রাজ্যের বিধান পরিষদের সদস্য।
উদ্ভব ঠাকরে গত বছর নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারা অনুযায়ী, ঠাকরেকে ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের কোন সদনের সদস্য হতেই হবে। আর না হলে, ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে। বর্তমানে উনি কোন সদনের সদস্য না। ওনাকে দেওয়া ছয় মাসের সময় গত ২৮ মে শেষ হতে চলেছে। আর ওনাকে আগামী ২৮ মে এর মধ্যে সদনের সদস্য হতেই হবে।
বিধায়কদের কোটা থেকে ৯ জন বিধান পরিষদের আসন ২৪ এপ্রিল শেষ হতে চলেছে, আর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ঠাকরেকে এমএলসি রুপে নির্বাচিত করা একদম ফাইনাল ছিল। উনি যেকোন একটি আসন থেকে নির্বাচনে লড়তে পারতেন। যদিও করোনা ভাইরাসের মহামারী আর গোটা দেশজুড়ে চলা লকডাউনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের পরক্রিয়া স্থগিত রেখেছে।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী মণ্ডল বুধবার রাজ্যপালের কোটা থেকে রাজ্যের বিধানসভা পরিষদের সদস্য রুপে উদ্ভব ঠাকরের নাম মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যপালের কোটা থেকে দুটি আসন খালি আছে, কারণ দুজন এমএলসি গত বছরের অক্টোবর মাসে বিধানসভার নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য এনসিপি ছেড়ে দিয়েছিলেন। ওই দুটি আসন জুন মাসের মধ্য পর্যন্ত খালি আছে।
যদি রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি মন্ত্রিমন্ডলের সুপারিস মেনে সরকার দ্বারা দেওয়া নামের প্রস্তাবে যদি সহমত হয়ে যান, তাহলে ঠাকরের কুরসি বেঁচে যাবে। ঠাকরের কাছে আরেকটি বিকল্প হল, উনি ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেবেন। এরপর তিনি আবারও দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারবেন। এরফলে উনি আরও ছয়মাসের অতিরিক্ত সময় পেয়ে যাবেন। তবে এরমধ্যে একটি সমস্যা হল, উনি যদি ইস্তফা দেন, তাহলে গোটা মন্ত্রীমণ্ডলকে ইস্তফা দিতে হবে।