বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে উদ্ধব ঠাকরের সরকারের পতন হওয়ার পর ক্ষমতায় এসেছে একনাথ শিন্ডে-বিজেপি জোট। তবে বর্তমান সময় দাঁড়িয়েও অব্যাহত রয়েছে ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডে বিরোধ! শিবসেনার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং নয়া মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দ্বৈরথ কমার কোন লক্ষণ নেই। এর মাঝেই আবার এদিন এক বড়সড় পরীক্ষার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। আজ বিধানসভায় আস্থা ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে রাজনীতি আর তার পূর্বেই নতুন সরকারের গৃহীত দুই সিদ্ধান্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজনৈতিক প্রাঙ্গণ।
বর্তমানে মহারাষ্ট্র রাজনীতি থেকে যে খবরটি মূলত উঠে আসছে তা হলো, নিজের পুরনো পদে আবার ফিরতে চলেছেন একনাথ শিন্ডে। এক্ষেত্রে শিবসেনার পরিষদীয় নেতার পদে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে চলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার কারণে কয়েকদিন পূর্বে এই পদ থেকে একনাথ শিন্ডেকে সরিয়ে সেখানে নিয়ে আসা হয় শিবসেনা নেতা অজয় চৌধুরীকে। এই ঘটনাকে উল্লেখ করেই এক প্রকার বিপত্তি বাধে। যদিও মাঝের সময় বহু ঝড়ঝাপটার সাক্ষী থাকে বাণিজ্য নগরী এবং শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হওয়ার পর এদিন পরিষদীয় নেতার পদ ফিরে পেলেন শিন্ডে।
উল্লেখ্য, গতকাল মহারাষ্ট্রে বিধানসভার অধিবেশনে স্পিকার পদে ভোটে জয়লাভ করেন বিজেপি নেতা রাহুল নরবেকর। এক্ষেত্রে শিবসেনার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। স্পিকারের পদে তাঁর বসার পরেই একনাথ শিন্ডে ফিরে পেলেন তাঁর পুরানো পদ। একই সঙ্গে এদিন শিবসেনার মুখ্য সচেতক পদেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। জানা গিয়েছে, এই পদ থেকে শিবসেনা নেতা সুনীল প্রভুকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ভরত গোগাওয়ালেকে। ভরত একনাথ শিন্ডের খুব কাছের মানুষ বলেই পরিচিত।
যদিও বর্তমানে স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে শিবসেনা। কিভাবে একজন স্পিকার পরপর দুটি স্থানে পরিবর্তন ঘটাতে পারে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তারা আর এই সকল দ্বন্দ্ব মাঝে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি এক নতুন বিতর্কেএ সাক্ষী থাকতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর মাঝেই এদিন বিধানসভায় আস্থা ভোট হতে চলেছে। যদিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী একনাথ শিন্ডে। তবে ভোটের প্রাক্কালে তিনি জানান, “আস্থা ভোটে আমরা জয়লাভ করব। তবে অতীতে আমি কখনোই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য দাবি করিনি।”