বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) আসন্ন। এর পূর্বে বিজেপি (BJP) পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) জয়লাভ একপ্রকার নিশ্চিত। একাধিক আঞ্চলিক দলগুলি তাঁকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে আর এবার সেই একই পথে হাঁটলো উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) পরিচালিত শিবসেনা (Shivsena) সাংসদদের একাংশ। ১৯ জন সংসদের মধ্যে ১৬ জনই বর্তমানে দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে আর তাদের এই ঘোষণার মাঝে পুনরায় একবার বিতর্ক সৃষ্টি হল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) রাজনীতিতে, যা নিয়ে অস্বস্তিতে শিবসেনা শিবির।
সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রে বহু রাজনৈতিক টালবাহানা শেষে পতন হয় উদ্ধব সরকারের। পরবর্তীতে একনাথ শিন্ডে এবং বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায় বসে। বর্তমানে অবশ্য শিবসেনার বাকি নেতা-মন্ত্রীদের ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্ধবের কাছে। এর মাঝে গতকাল শিবসেনার সংসদীয় দলের বৈঠকে অধিকাংশ সাংসদ জানান যে, তারা বিজেপির পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে চলেছেন। কারণ, তিনি জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। মহারাষ্ট্রে এই সম্প্রদায়ের মানুষের আধিক্য থাকার কারণে তাদের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
অপরদিকে মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করা নিয়ে মামলাও বর্তমানে পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে সব মিলিয়ে ক্রমশ অস্বস্তি বেড়ে চলেছে ঠাকরে-সঞ্জয় রাউতেদের। ইতিমধ্যেই দলের সাংসদদের ধরে রাখার জন্য লোকসভায় মুখ্য সচেতক পদে নয়া নিয়োগ করেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এর মধ্যেই গতকাল বৈঠক মাঝে পড়ে যায় শোরগোল।
একেই বেশ কয়েকজন সাংসদ ছিলেন অনুপস্থিত আর তার ওপর যারা উপস্থিত হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে প্রায় সকলেই দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের কথা জানান। অতীতেও বিজেপি পদপ্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার দিকে ঝুঁকে থাকে অনেকে আর এবার প্রকাশ্যে সকলে তাদের মতামত প্রকাশ করলেন। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত যে গোটা বিষয়ে খুশি নন, তা তার কথাবার্তাতে স্পষ্ট। পরবর্তীতে তিনি একটি টুইট করে বলেন, “বর্তমানে এমন একটি সময় এসে দাঁড়িয়েছে, যখন যেকোন দিক থেকেই মুশকিল পরিস্থিতি আসতে পারে।”
অপরদিকে, মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ প্রসঙ্গে যে মামলাটি করা হয়েছিল, তার শুনানিও পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী কপিল সিব্বল দ্বারা দ্রুত শুনানির আবেদন করা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি উচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “কোন বেঞ্চে এসকল আর্জির শুনানি হবে, তা ঠিক করতে অনেক সময় লাগতে পারে।” ফলে এই শুনানিগুলি কবে হবে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোন ধারণা মেলেনি।