বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই মুহূর্তের ব্রেকিং নিউজ! বাণিজ্য নগরীতে কি ভাঙতে চলেছে শিবসেনার সড়কার? মহারাষ্ট্রের বুকে শিবসেনার অস্বস্তি যেন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। ভবিষ্যতে উদ্ধব ঠাকরে সরকার ক্ষমতায় থাকে কিনা, সেই বিষয় নিয়ে বর্তমানে প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে। আর এই মুহূর্তে সামনে আসা একটি খবর এই আশঙ্কাই যেন সত্য প্রমাণ করলো। প্রসঙ্গত, কয়েক মুহূর্ত পূর্বেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে পুত্র আদিত্যর টুইটার হ্যান্ডেলের একটি স্ট্যাটাস ঘিরে গোটা রাজ্য জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। খবর রটে যায়, আদিত্য ঠাকরে নিজ টুইটার প্রোফাইলে মন্ত্রীর ট্যাগ নাকি মুছে ফেলেছেন! তবে এরপরেই আসরে নামে শিবসেনা। বর্তমানে শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী দ্বারা এটিকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর মাঝেই আবার পুনরায় বিতর্ক সৃষ্টি হয় শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে যেভাবে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে, তার মাঝে এদিন সঞ্জয় রাউত বলেন, “গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে যেভাবে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বেঁধে চলেছে, তাতে এই মুহূর্তে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার পরিস্থিতি যেন আরও সামনে এগিয়ে আসছে।” তাঁর এই মন্তব্যের পর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে, ‘তবে কি মহারাষ্ট্র সরকার পতনের মুখে?’ যদিও এই মুহূর্তে কোন সুস্পষ্ট ধারণা মেলেনি, তবে শিবসেনার চিন্তার ভাঁজ যে প্রতিমুহূর্তে বেড়ে চলেছে, তা অনস্বীকার্য। এও শোনা যাচ্ছে যে, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাণিজ্য নগরীতে রাজনৈতিক পেক্ষাপট একাধিক বিতর্কের সাক্ষী হয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার জোট সরকার ক্ষমতায় বিরাজ করে চলেছে। এক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কংগ্রেস ও এনসিপি দলের জোট রয়েছে এবং অপরদিকে, বিরোধীপক্ষে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে সম্প্রতি দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানোর সম্ভাবনা প্রবল হয়ে ওঠে শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের। এক্ষেত্রে বহু সংখ্যক বিধায়ক তাঁর হাতে থাকায় সেই আশঙ্কা আরও বৃহত্তর রূপ ধারণ করে।
প্রথমে গুজরাটে সকল বিধায়কদের নিয়ে অবস্থান করলেও এদিন সকালেই খবর রটে যায় যে, প্রায় 40 জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে অসমের গুয়াহাটিতে পৌঁছে গিয়েছেন শিন্ডে। যদিও গুয়াহাটিতে পৌঁছে তিনি জানান, “এখন আমার সঙ্গে 40 জন বিধায়ক যুক্ত রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরো 10 জন যুক্ত হতে পারেন। আমি শিবসেনার সাথে থাকতেই প্রস্তুত রয়েছি।” তবে শিন্ডের এই মন্তব্য কতখানি ধোপে টেকে, সেটাই দেখার।