বাংলা হান্ট ডেস্ক : মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে গত অক্টোবর মাস থেকে কম নাটক হয়নি। প্রায় দেড় মাস ধরেই মহারাষ্ট্র সরকার গঠন করবে কে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কার্যত মাথার চুল ছেঁড়া অবস্থা হয়েছিল। প্রথমেই তো দেবেন্দ্র ঘটনা বিষের সঙ্গে অজিত পাওয়ারের সমর্থন তার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া কিন্তু তাও আবার তাসের ঘরের মতো মাত্র আশি ঘণ্টার মধ্যেই ভেঙে যায়।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে এনসিপি শিবসেনা এবং কংগ্রেস জোট বেঁধেছিল তাই তো পরে এ বার শিবসেনার তরফে মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে। এ বার মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিত্ব সভার ভাগ বাঁটোয়ারা হলে আর সেখানেই ছয় মন্ত্রীর মধ্যেই সমস্ত দফতর ভাগাভাগি করে নেওয়া হলেও। জানা গিয়েছে শিবসেনাকে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র ও নগর উন্নয়ন দফতর, এনসিপি র কাছে গেছে অর্থ ও আবাসন দফতর এবং কংগ্রেস রাজস্ব ও শক্তি দফতর পেয়েছে।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ পাচ্ছেন একনাথ সিন্ডি যাঁর কাছে গিয়েছে নগর উন্নয়ন পরিবেশ জল সরবরাহ সহ আরও ছটি দফতর। সুভাষ দফতর পেয়েছেন প্রায় এগারোটি দফতর। এনসিপির জয়ন্ত পাতিল অর্থ আবাসন সহ আরও পাঁচটি এবং ছগন ভুজবল ক্ষেত্রেও তাই। যদিও মন্ত্রিসভার এখনও অবধি সেভাবেই সম্প্রসারণ হয়নি কারণ এখনও দশ বারো দিন পরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে বলেই সূত্রের খবর।
মহারাষ্ট্রে এই সময় শিবসেনা , এনসিপি আর কংগ্রেসের জোট সরকার চলছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার পর শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে ২৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে সবথেকে বেশি আসন জেতার পরেও বিজেপি সরকার গঠন করতে অক্ষম হয়। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের শপথ নেওয়ার তিন দিনের মধ্যে উনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাও দিয়ে দেন।
কিন্তু এবার রাজ্যসভায় বিজেপির সাংস সুব্রামানিয়াম স্বামী মহারাষ্ট্রে ফের বিজেপির সরকার গড়ার ফর্মুলা বাতলে দিলেন।