বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর যেসব তারকারা চর্চায় উঠে এসেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বর্ষীয়ান পরিচালক মহেশ ভাট (mahesh bhatt)। দীর্ঘদিনের বলিউড কেরিয়ারে বহুবার বহু বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন পরিচালক। অন্য রকমের চিন্তাধারার জন্য পরিচিত মহেশ নিজের কিছু মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখেও পড়েছেন বেশ কয়েকবার।
কাজলকে ‘ওভাররেটেড’ অভিনেত্রী বা ‘বরফি’র মতো ছবিকে ‘ওভাররেটেড’ ছবি বলা থেকে শুরু করে AIB roast অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সোনাক্ষী সিনহাকে গ্রেফতারের দাবি, বারে বারেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মহেশ ভাট। কিন্তু তাঁর একটি মন্তব্য চিরদিনই নতুন করে বিতর্ক উস্কে দেয়। নিজের মেয়ে পূজা ভাটকে (pooja bhatt) বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
আশির দশকে ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিন প্রকাশ হতেই সবার চোখ কপালে উঠেছিল। ম্যাগাজিনের কভারের ছবিটি ছিল মহেশ ভাট ও তাঁর মেয়ে পূজা ভাটের। ছবিতে দেখা গিয়েছিল, পূজাকে কোলে বসিয়ে তাঁকে চুম্বন করছেন মহেশ। সেই সঙ্গে একটি লাইনও লেখা ছিল, ‘যদি পূজা আমার মেয়ে না হত ওকে আমি বিয়ে করতাম’।
ম্যাগাজিনটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কের ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। ম্যাগাজিন ও মহেশ ভাট দুজনেই তুমুল সমালোচনার সম্মুখীন হন। পরে কফি উইথ করন শোতে আলিয়া জানান, তিনি তাঁর সম্পর্কে একটি মন্তব্য শুনেছিলেন যে তিনি মহেশ ভাট ও পূজা ভাটের সন্তান।
প্রসঙ্গত, পূজা ভাট মহেশ ভাটের প্রথম স্ত্রী লরেনের কন্যা। শোনা যায়, কেরিয়ারের মাঝেই লরেনকে বিয়ে করেন মহেশ ভাট। এই বিয়ের জন্য নিজের ধর্মও পরিবর্তন করেন লরেন। নাম পালটে হন কিরণ ভাট। বিয়ের ৪ বছরের মধ্যে তাঁদের পরিবারে আসে পূজা। এই পর্যন্ত ঠিকই চলছিল। কিন্তু মেয়ে একটু বড় হতেই অভিনেত্রী পারভিন বাবির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মহেশ। এই কারণেই তাঁর থেকে ক্রমশ দূরে সরতে থাকেন কিরণ। তবে তখনও তাঁদের বিচ্ছেদ হয়নি।
পারভিন বাবির সঙ্গে মহেশ ভাটের সম্পর্কের মেয়াদ ছিল মাত্র দু বছর। এর পরেই বর্তমান স্ত্রী সোনি রাজদানের সঙ্গে প্রেম শুরু হয় পরিচালকের। তবে সোনির বাড়ি থেকে এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ফলে তাঁরা বাধ্য হয়ে লুকিয়ে বিয়ে করেন। কিরণের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ না হওয়ায় নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে সোনিকে বিয়ে করেন তিনি। তারপর একে একে জন্ম হয় শাহিন ও আলিয়ার।