বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরভীন বাবি (Parveen Babi), হিন্দি সিনে জগতের সর্বকালীন সফল এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর সৌন্দর্য ও অভিনয়ের প্রশংসা এখনো ফেরে সিনেপ্রেমীদের মুখে মুখে। আরো একটি কারণে তিনি বিখ্যাত ছিলেন। সেটা হল বিতর্ক। গোটা কেরিয়ার জুড়ে বহু বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন পরভীন। পরিচালক প্রযোজক মহেশ ভাটের (Mahesh Bhatt) সঙ্গে সম্পর্ক তার মধ্যে অন্যতম।
সারা জীবন অবিবাহিত থেকে বহু পুরুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন পরভীন বাবি। বিশেষ করে মহেশ ভাটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা সবথেকে বেশি চর্চায় থেকেছে। কারণ তারপরেই অভিনেত্রীর মানসিক অসুস্থতার খবর হয়ে উঠেছিল ‘মুখরোচক’ গসিপের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
না, পরভীনের সঙ্গে সম্পর্কটা কখনোই লুকিয়ে রাখেননি মহেশ ভাট। একবার একটি ভয়াবহ ঘটনার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। হাতে ছুরি নিয়ে বসেছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর ভাবভঙ্গি অপ্রকৃতিস্থের মতো লাগছিল। এমনকি মেয়েকে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন পরভীনের মা ও।
এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন মহেশ ভাট। তিনি বলেন, “বেডরুমের মধ্যে ঢুকে আমি দেখেছিলাম ড্রেসিং টেবিলে অসংখ্য পারফিউমের বোতল রাখা। কিন্তু একটা দৃশ্য দেখে আমার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গিয়েছিল। ঘরের একটা কোণায় সিনেমার কস্টিউম পরে গুটিসুটি মেরে বসেছিল পরভীন। ওর হাবভাব দেখে হিংস্র লাগছিল। হাতে একটা ছুরি ধরা ছিল ওর।”
পরিচালক বলেন, তিনি জিজ্ঞাসা করেন যে পরভীন ছুরি নিয়ে কী করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চুপ করিয়ে দিয়ে অভিনেত্রী বলে ওঠেন, তাঁর উপরে নজর রাখার জন্য ঘরে গোপন ‘বাগ’ লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলো ওঁকে মেরে ফেলবে।
মহেশ জানান, তিনি সবথেকে সফল মনোবিদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন পরভীনকে। তাতে জানা যায়, প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়া নামে এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত অভিনেত্রী। চিকিৎসা শুরু হলেও সুস্থ হওয়ার বদলে আরো অবনতি হতে থাকে পরভীনের। কখনো বলতেন এসিতে ‘বাগ’ রয়েছে, আবার কখনো দাবি করতেন ‘পারফিউমে রয়েছে। শেষমেষ ২০০৫ সালে একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয় পরভীন বাবির।