বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী বিদ্রোহী বালোচ গোষ্ঠী এখন উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। বিদ্রোহী বালোচ গোষ্ঠীর একের পর এক হামলায় চোখে সর্ষেফুল দেখার অবস্থা পাক প্রশাসনের। বালোচদের বিদ্রোহে এখন কাঁপছে পাকিস্তানের (Pakistan) মাটি। তবে বালোচিস্তান আন্দোলনের অন্যতম মুখ বছর বত্রিসের মহরং বালোচকে চেনেন?
পাকিস্তানকে (Pakistan) চাপে ফেলেছে মহরং বালোচ
ইন্টারনেট থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন মহরং বালোচ। পেশায় চিকিৎসক বছর বত্রিশের এই তরুণী বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে প্রচার করে চলেছেন বালোচিস্তানের মাটিতে পাকিস্তান সরকার ও পাক সেনার নির্মম অত্যাচারের কাহিনী। বালোচ ইয়াকজেথি কমিটির নেত্রী মহরং বালোচ কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছিলেন পাক নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যালীলার ঘটনারও। এই বালোচ নেত্রীর অভিযোগ, পাক সেনা নির্বিচারে হত্যা করছে বালোচিস্তানের মহিলা-শিশুদের।
আরও পড়ুন : প্রথম পাঁচে থেকেও এত বড় “ঝটকা”! রাতারাতি বদলে যাচ্ছে জলসার জনপ্রিয় মেগার নায়ক-নায়িকা
পাক সেনার বিরুদ্ধে বালোচিস্তানের মহিলাদের ধর্ষণ ও ঘরবাড়ি লুঠের মারাত্মক অভিযোগও এনেছেন এই নেত্রী। ২০২২ সালে ইসলামাবাদে বালোচবাসীদের গুম করার প্রতিবাদে একটি বিশাল মিছিলের ডাক দেন মহরং বালোচ। আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো বিশ্বের একাধিক দেশে এই বালোচ নেত্রী পৌঁছে গিয়েছিলেন নিজের বক্তব্য নিয়ে। বিদেশের মাটিতেও এই বালোচ নেত্রীর প্রভাব দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পাক সরকারেরও।
আরও পড়ুন : বিজেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে, ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ প্রতিযোগী মানসীর আসল পরিচয় জানেন?
এখানেই শেষ নয়। ইয়াকজেথি কমিটির নেত্রী মহরং বালোচ জায়গা করে নিয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ জন উদীয়মান নেতানেত্রীদের তালিকায়। পাশাপাশি বিবিসি-র ১০০ জন প্রভাবশালী মহিলার তালিকাতেও রয়েছে তাঁর নাম। পাক সরকারের একের পর অত্যাচারের ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কারাবন্দীও হতে হয়েছে মহরং বালোচকে। বর্তমানে লড়াকু এই নেত্রী রয়েছেন জেলেই।
জানা যায়, মহরং বালোচের বাবা আব্দুল গফর বালোচ ছিলেন পাকিস্তানের একজন বামপন্থী নেতা। অভিযোগ ওঠে ২০০৯ সালে জোরপূর্বক আব্দুল গফর বালোচকে গ্রেফতার করে পাক সেনা। এই ঘটনার প্রায় দুবছর পর উদ্ধার হয় পাকিস্তানের (Pakistan) এই বাম নেতার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। এমনকি ২০১৭ সালে মহরংয়ের ভাইকেও অনৈতিকভাবে ধরে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে পাক সেনার বিরুদ্ধে।