‘ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন’? ডোন্ট কেয়ার, মহুয়াকে বিরাট ‘গিফট’ দিল তৃণমূল, এক্কেবারে ‘থ’ সকলে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্রর (Mahua Maitra) ‘ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন’ নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। বিতর্কের জল গড়িয়েছে বহু দূর। প্রথম দিকে মহুয়া ইস্যুতে চুপ থাকলেও সম্প্রতি সাংসদের ফরে কথা বলা শুরু করে তৃণমূলের নেতারা। সম্প্রতি ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সাংসদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর এবার মহুয়াকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান জলের মত স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল (Trinamool Congress)।

এথিক্স কমিটি সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করল, তাতে কী? সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিল তৃণমূল। তৃণমূলে মহুয়া মৈত্রের বিরাট পদোন্নতি। তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করা হল মহুয়া মৈত্রকে। অর্থাৎ সাংসদ যে প্রথম থেকেই বলে যাচ্ছিলেন তার পাশে দল ১০০% রয়েছে, সেই কথাই যে ঠিক, এতদিনে তার প্রমাণ মিলল।

দলের এই সিদ্ধান্ত জানার পর নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে দলের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহুয়া। ওদিকে নদিয়া জেলার নতুন চেয়ারপারসন হলেন রুকবানুর রহমান। একদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। পাখির চোখ এখন চব্বিশ। তার আগে মহুয়াকে এই দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: ‘ড্রিম কাম ট্রু’! লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলছেন মমতা, পাশে দাঁড়িয়ে অভিষেক, কোথায় জানেন?

প্রসঙ্গত, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’, সম্প্রতি এই অভিযোগে জর্জরিত ‘জনপ্ৰিয়’ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এক শিল্পপতির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে। বিতর্কের জল এতটাই গড়িয়েছে যে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Trinamool MP Mahua Moitra) সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ পর্যন্ত করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। যা নিয়ে নিয়ে রীতিমতো উত্তাল গোটা দেশ।

02 mahua moitra interview 03 11 delhi

এদিকে ৪ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন। সেখানে মহুয়াকে নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কী না সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে। তবে তার আগে দলের ভরসার হাত কাঁধে রেখে আপাতত নিশ্চিন্তে ‘বিতর্কিত’ সাংসদ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর