বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাহাড়ের রাজ্য মেঘালয়ে (Meghalaya) আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। জোর কদমে রাজ্য জয়ের জন্য ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে, বছরের পেরোলেই লোকসভা নির্বাচন। এই আবহে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে দলের মাটি শক্ত করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস (Congress) তৃণমূল (TMC) থেকে শুরু করে বিজেপি (BJP)। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে একে ওপরের বিরুদ্ধে গিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে তৃণমূল বনাম কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, মেঘালয়ে ঘাসফুল ফোটাতে ঘন-ঘন সেরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ও যুবরাজ অভিষেক। দুদিন আগেই সেখানে গিয়ে প্রকাশ্য জনসভা থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূল। অন্যদিকে, তৃণমূলকে পাল্টা জবাব দিয়ে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেন, বিজেপিকে সাহায্য করতেই মেঘালয়ে লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল। এই মন্তব্যে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এবার রাহুলকে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)।
এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, ”বিজেপির বিকল্প একমাত্র তৃণমূলই। তারাই পারে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে।” এদিন মহুয়া বলেন, “ কংগ্রেস যদি লড়াইটা ঠিকমতো করতে পারত, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে এখানে লড়তে আসত না। যা কংগ্রেস পারেনি, তার জন্য আমরা, তৃণমূল, একধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের কী করা উচিৎ ছিল তবে? ঘরে বসে দেখা যে আরেকটি রাজ্যেও বিজেপি জিতে সরকার তৈরি করছে? “হুঙ্কারের সুরে নেত্রী বলেন, “মেঘালয়বাসীকে আমরা বিকল্প সরকার দিতে চাই। আর বিজেপির বিকল্প একমাত্র তৃণমূলই।”
প্রসঙ্গত, দুদিন আগে মেঘালয়ের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকে একহাত নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “আপনারা তৃণমূলের ইতিহাস জানেন। বাংলায় আজ কী পরিমাণ দুর্নীতি আর হিংসা আপনারা জানেন। ওরা গোয়াতে গিয়েও প্রচুর টাকা খরচ করেছে। তবে একটাই লক্ষ্য ছিল বিজেপিকে সাহায্য করা। মেঘালয়েও এমনটাই পরিকল্পনা তাদের। বিজেপিকে শক্তিশালী করাটাই তৃণমূলের লক্ষ্য।”
অন্যদিকে, সেই একই দিনে জনসভা করে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমি কংগ্রেসে ছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের দল থেকে তাড়িয়েছে। কারণ আমরা বিজেপিকে আটকানোর জন্য লড়াই করছি। তবে আজও আমরা ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আজও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছি। রোজ বিজেপি ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাদের কড়া নাড়ছে। বিজেপি মনে করে সবাই ওদের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত। তবু তৃণমূল লড়ছে।” মেঘালয়ে নির্বাচনের বাকি হাতে গোনা কিছুদিন মাত্র। এত অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগের পর শেষমেষ কার দখলে যায় পাহাড়ের রাজ্যের ক্ষমতা সেটাই এবার দেখার বিষয়।