বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নয়া বছরেও বিপদ পিছু ছাড়ল না তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মিত্রের (Mahua Moitra)। সাংসদ পদ খারিজ কাণ্ডে আজ বুধবার তৃণমূল মহুয়া মৈত্রের আবেদনের শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েও মিলল না স্বস্তি। সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্তের উপর এখনই স্থগিতাদেশের আবেদন মানতে নারাজ শীর্ষ আদালতে। সূত্রের খবর এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। মহুয়ার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির তরফে করা ফেব্রুয়ারিতে শুনানির জন্য আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে। তবে এই মামলায় বুধবার সংশ্লিষ্ট লোকসভার সচিবালয়কে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷
শীর্ষ আদালত তরফে নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্রের বহিষ্কারের বিষয়ে আদালতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য দিতে হবে লোকসভার সচিবালয়কে৷ সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই লোকসভার সচিবালয়কে তথ্য দিতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন শুনানি চলাকালীন সংসদের নেওয়া সিদ্ধান্তের উপর অদৌ বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপের এক্তিয়ার রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল। এর প্রেক্ষিতে এক্তিয়ারের বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতে মহুয়ার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির আবেদন, মহুয়াকে শুধুমাত্র তার লগইন আইডি শেয়ার করার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। সিংভি বলেন, আমি ১৮ বছর ধরে সংসদ সদস্য ছিলাম। যেকোন ব্যক্তি শুধুমাত্র কাজ করার জন্য পাসওয়ার্ড দিতে পারে না, একটি OTPও তার কাছে আসে। পাসওয়ার্ড শেয়ার করার বিরুদ্ধে কোনো নিয়ম ছাড়াই এখানে বহিষ্কার করা হয়েছে। যে নিয়মগুলো বলবৎ আছে সেগুলো হ্যাকিংয়ের সাথে সম্পর্কিত।
আরও পড়ুন: রাজু বিস্তার পরিবর্তে এবার দার্জিলিঙে BJP-র প্রার্থী শ্রিংলা? এই ব্যক্তির পরিচয় জানলে ঘুম উড়ে যাবে
সিংভি আরও বলেন গোটা ঘটনা আসলে একজন এমপির অভিযোগের ভিত্তিতে। একজন সাংসদকে কি এমন তুচ্ছ কারণে বহিষ্কার করা যায়? এই প্রশ্ন এদিন লাগাতার তুলে গিয়েছেন মনু সিংভি। এর পরেই, মহুয়া মৈত্রের আবেদনে লোকসভার সচিবালয়কে কাছে ৩ সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।