বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবার বিতর্কের আগুনে ঝাঁপ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। মুসলিম ডেলিভারি বয় বিতর্ককে আর একটু উস্কে দিয়ে তিনি বললেন, ওই ফুড ডেলিভারি কোম্পানির উচিত অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। এমনকি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তাবও দেন তিনি।
বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে হায়দরাবাদে ঘটা একটি ঘটনা। সম্প্রতি, ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইগিতে খাবার অর্ডার করার সময় নির্দেশ দেন কোনও মুসলিম ডেলিভারি বয়কে দিয়ে তাঁকে যেন খাবার না পাঠানো হয়। এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। এরপরই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র মন্তব্য করেন এই বিষয়ে। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘হায়দরাবাদে এক ব্যক্তি খাবার ডেলিভারি অ্যাপ সুইগিকে নির্দেশ দিয়েছে তারা যেন মুসলিম ডেলিভারি বয়ের হাতে খাবার না পাঠায়। এই সব দেখে মনে হচ্ছে কট্টরপন্থ সীমা ছাড়িয়েছে। এই জাতীয় ঘটনা এখন খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই দেশে। এরই সঙ্গে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবারও দাবি জানান।
তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, হায়দরাবাদের ওই ব্যক্তির কাজ একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। তা সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি টুইটে লেখেন, এতদিন যেটা ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, আজ তার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। এর প্রভাব পড়বে সার্বজনিক ভাবে।
সুইগির ফুড ডেলিভারি অ্যাপে এমন নির্দেশ দেখে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তেলেঙ্গানার ট্যাক্সি এবং ড্রাইভার জয়েন্ট একশন কমিটির প্রধান শেখ সালাউদ্দিন। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় এই পোস্ট। এই ছবির সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘আমরা যারা ডেলিভারি কর্মী, তারা কখনও ধর্ম দেখে খাবার দিতে যাই না। যিনি খাবাট অর্ডার করেছেন তিনি হিন্দু, মুসলিম, শিখ, ইসাই যা খুশি হতে পারেন।’
এই ঘটনার নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা কার্তি চিদাম্বরমও। তিনি বলেন সুইগির উচিত এই জাতীয় গ্রাহকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া।