‘হিন্দুরা ধর্ষণ করে না’ মন্তব্যে চটে লাল মহুয়া! মোদী-শাহকে চরম কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিলকিস বানো (Bilkis Bano) গণধর্ষণ মামলায় উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি। গুজরাট (Gujrat) হিংসা ঘটনার সময়কালে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হলেও গত ১৫ ই আগস্ট দোষীদের মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে গুজরাট সরকার। এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় দেশের সর্বত্র। আর এবার বিলকিস গণধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির বক্তব্যে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি। এমনকি এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং অমিত শাহকে (Amit Shah) চরম কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)।

গুজরাট হিংসার ঘটনা সময়কালে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা দেশ। ধর্ষণ এবং পরিবারের সকলকে খুনের ঘটনার পরবর্তীতে আদালতের রায়ে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি হয়। এক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নির্দেশ দেওয়া হলেও পরবর্তীতে গত ১৫ ই আগস্ট তাদের মুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় দেশবাসীর ন্যায় হতবাক হয়ে পড়েন নির্যাতিতা ওই মহিলা এবং তাঁর গোটা পরিবার।

শুধু তাই নয়, এবার দোষীদের মধ্যে একজন (গোবিন্দভাই নাই) এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, “আমরা নির্দোষ। কখনো কি ভাইপো এবং কাকাকে একে অপরের সামনে ধর্ষণ করতে দেখেছেন? হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে না। এই কাণ্ড হিন্দুরা কখনোই করে না।”

তার এই মন্তব্যের পর সমালোচনার সরব হয়েছে একাধিক মহল। সেই ধারা বজায় রেখে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে আক্রমণ করে বসলেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তিনি একটি টুইট করে বলেন, “বিলকিস মামলায় দোষী সাব্যস্ত ধর্ষক গোবিন্দ নাই বলছে যে, ওরা নাকি নির্দোষ। কাকা আর ভাইপো একে অপরের সামনে কাউকে ধর্ষণ করতে পারে না। হিন্দু সম্প্রদায়ে নাকি এরকম ঘটনা ঘটে না। বর্তমানে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের জন্যই এই পশুরা বাইরে ছাড়া পেয়েছে।”

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন মহুয়া মৈত্রও। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দোষীদের মুক্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন দেখার, উক্ত মামলার মাধ্যমে দোষীদের পুনরায় একবার হেফাজতে পাঠানো সম্ভব হয় কিনা।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর