বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির বাড়িতে প্রাণ হারিয়েছিলেন DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দা (maidul islam)। গতকালই তাঁর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (mamata banerjee)। অন্যদিকে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘আদৌ কি ওইদিন আন্দোলনে ছিলেন মিদ্দা?’
বৃহস্পতিবার ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বাম সমর্থকদের। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও, বেশকিছু বাম সমর্থক পুলিশের লাঠির ঘায়ে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিলেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
সোমবার সকালে নবান্ন অভিযানে আহতদের মধ্যে মারা যান বছর ৩১ -এর বাম সমর্থক মইদুল ইসলাম মিদ্দা। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সোমবার সকালে প্রাণ হারান এই বাম সমর্থক। জানা গিয়েছিল, পেশায় অটোচালক মইদুল ইসলাম মিদ্দার দুই কন্যাসন্তান রয়েছে এবং পরিবারে তিনি একাই উপার্জিত ব্যক্তি। এমনকি তাঁর মৃত বোনের মেয়েরও দেখভাল করতেন তিনি।
স্বামী মারা যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়ে মইদুলের স্ত্রী জানিয়েছেন, ‘বাড়িতে ৩ টে মেয়ে রয়েছে, ওদের পড়াশুনা রয়েছে। আবার আমার বিধবা শাশুড়িও রয়েছেন। ওঁকে কলকাতার হার্সিংহোমে ভর্তি করা হলেও, ঠিক কোথায় ছিল, তা জানতাম না’।
মইদুলের স্ত্রী আরও বলেন, ‘যে যাওয়ার সে তো চলেই গেছে, তাই এখন সংসারটা যাতে ভালোভাবে চলে, সেরকম যেন একটা চাকরি দেয়। চাকরি নেব, তবে কম পয়সার চাকরি নেব না আমি। খেয়ে পরে থাকার মত চাকরি নেব’।