চটজলদি মালয়েশিয়া ‘টুইন টাওয়ার’ ঘুরতে চান? কালীপুজোয় চলে যান নিমতা জোনাকিতে

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপূজো থেকে কালীপুজো, ক্লাব কর্তাদের এবারের পূজোর থিমের জন্য অন্যতম পছন্দ হলো টুইন টাওয়ার। দুর্গা পুজোতেও চলতি বছর কল্যাণীর এক ক্লাব করেছিল টুইন টাওয়ার। আবারো শ্যামাপুজোর এক মণ্ডপসজ্জা করা হলো মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ারের অনুকরণে। তার সাথে তাল মিলিয়ে চোখ ধাঁধানো লেজার লাইটের উপস্থাপনাও করা হয়েছে। তাই এবারের কালীপুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে দর্শকদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে নিমতা জোনাকি সংঘের এই টুইন টাওয়ার মণ্ডপ।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সহ কলকাতার শহরতলীর মানুষও মেতেছে নিমতা জোনাকির এই অভিনব মণ্ডপ ও শ্যামা পূজায়। জোনাকি যেমন দলে দলে ভিড় করে অন্ধকার বনে ঠিক সেরকম ভাবেই মানুষও দলে দলে উপস্থিত হচ্ছেন নিমতার জোনাকি ক্লাবের টুইন টাওয়ার দেখতে। চলতি মাসে ২৩ তারিখে দর্শকদের জন্য শ্যামা পুজোর এই অভিনব মণ্ডপ খুলে দেওয়া হয়েছে। সেই ২৩ তারিখ থেকে যত দিন যাচ্ছে ততই সেখানে লোকের ভিড়ও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।

এদিকে ভিড় সামলানোর জন্য মণ্ডপের তরফ থেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়োগ করা হয়েছে যাতে ভিড় যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তার সাথে রয়েছে নিমতা জোনাকির অসংখ্য ভলেন্টিয়ার। অপরদিকে এই মণ্ডপের ভিড় নিয়ন্ত্রণ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা পরখ করতে বারংবার ব্যারাকপুর কমিশনারেট এর তরফ থেকে পুলিশ কর্তারা যাওয়া আসা করছেন এই মণ্ডপে এবং বেশ খানিকক্ষণ উপস্থিত থাকে মণ্ডপের সামগ্রিক অবস্থার ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন তারা।

নিমতা জোনাকি সংঘের এই পুজোর প্রধান কর্মকর্তা হলেন দমদম মিউনিসিপালিটি চেয়ারম্যান শ্রী বিধান বিশ্বাস। বিধান বাবু জানিয়েছেন, “আমাদের এবারের এই অভিনব টুইন টাওয়ারের আকর্ষণে কলকাতা শহরতলীর সাথে সাথেই উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ইত্যাদি বিভিন্ন জেলার দূরদূরান্তের প্রান্ত থেকে মানুষজন আসছেন মণ্ডপে। মঙ্গলবার থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা প্রচুরভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২৩ তারিখ মণ্ডপ খোলার পর থেকে এখনো অবধি নিমতা জোনাকির শ্যামা পুজো মণ্ডপে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ দর্শনার্থী এসেছেন। আমরা আশা করছি বাকি কয়েকদিন এর মধ্যেই দর্শনার্থীদের সংখ্যা এর দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াবে।”

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

X