বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘আমার মেয়েকে ফেরাবে কে’? সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন সিনেমা ‘টেক্কা’র (Tekka) পোস্টারে বড় বড় লেখা হরফে লেখা হয়েছিল এই বার্তা। পাশে স্বস্তিকার (Swastika Mukherjee) মুখ। আর এই পোস্টার নজরে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুসে উঠেছিলে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তার দাবি ছিল আরজিকর কান্ডের আবেগকে কাজে লাগানো হচ্ছে সিনেমার প্রচারে।
বদল ‘টেক্কা’র (Tekka) পোস্টার
আর এই আসন্ন বাংলা সিনেমার প্রধান অভিনেতা-প্রযোজক হলেন তৃণমূল সাংসদ দেব অধিকারী। প্রসঙ্গত টেক্কা’র (Tekka) পোস্টার নিয়ে কুনাল ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন খোদ অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখ মুখোপাধ্যায়। আর তারপরেই এবার রাতারাতি বদল আনা হল সিনেমার (Tekka) পোস্টারে। সেখানে ‘আমার মেয়ের পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘আমার অবন্তিকাকে ফেরাবে কে?’
এবার সারাসরি চরিত্রের নাম উল্লেখ করা হল পোস্টারে। পাশাপাশি আগের মতই স্বস্তিকার চিন্তিত মুখের পাশে দেখা গেল দেবের মুখ। সেখানে লেখা ‘সময়’। এই অংশটি আগেও ছিল। প্রসঙ্গত আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে শুরু থেকেই সরব হয়েছেন স্বস্তিকা। তাই ‘মেয়ের ‘ বিচার আন্দোলন একমাস হয়ে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর ‘উৎসবে ফিরুন’ মন্তব্য শুনে ঝাঁঝালো জবাব দিয়েছিলেন স্বস্তিকা।
আরও পড়ুন : ‘অনেক লাথি-ধাক্কা খেয়েও, শিক্ষা হয়নি!’ কেন এমন বললেন কৌশানি?
আর পরেই টেক্কার পোস্টারে : ‘আমার মেয়েকে ফেরাবে কে’? লেখা দেখে বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে স্বস্তিকাকে ট্রোল করে কুনাল ঘোষ লিখেছিলেন, ‘যদিও ছবিটির বিষয়বস্তু অপহরণের, তবু, এই RG Kar আবহে ট্র্যাজেডিকে কাজে লাগিয়ে সিনেমার প্রমোশনের কৌশল একটু চোখে লাগছে। ‘উৎসবে ফিরব না’ অথচ ‘সিনেমার পোস্টারে ফিরব’, এটাও দ্বিচারিতা। সৃজিতের ছবি আমার প্রিয়। কিন্তু, যতই ছবির থিম হোক, সবাই বুঝবেন, কোন আবেগকে প্রচারে ব্যবহার করা হল।’
After public outrage on Social media, the producer and the organizers of the film Tekka have modified the banners and hoardings of the upcoming Bangla film 'Tekka'.
BEFORE AFTER pic.twitter.com/WCHHj5u2Nn
— Sourav || সৌরভ (@Sourav_3294) September 20, 2024
কুনালের কটাক্ষের জবাবে চুপ থাকেননি স্বস্তিকাও। এপ্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোক্ষম জবাব দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ওনার অনেক সময় জীবনে। উনি যা ইচ্ছে বলুন। উনি হয়ত ছোট থেকেই এই শিক্ষাই পেয়েছেন যে মহিলাদের কীভাবে আক্রমণ করতে হয়। ওনার বাবা-মা হয়ত ওটাই শিখিয়েছেন। আর আমার বাবা-মা শিখিয়েছেন এগুলোতে গা না করতে। আর আমি অত বড় কেউ নই, যে ডিরেক্টার, প্রডিউসারদের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাব। জিগ্গেস করব যে এই পোস্টার কেন দিলে? এটা আমার কাজও নয়। যদি ঘোষ মহাশয়, ওনার পদবীটাও আবার সন্দীপ ঘোষেরই মতোই আর কি। বড়ই অদ্ভুত বিষয়…।’