বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিয়ে, বিচ্ছেদ, আবার বিয়ে। গ্ল্যামার দুনিয়ার তারকাদের কাছে এ তো বাঁ হাতের খেল! অনেকেরই ভাবনা চিন্তা এমন ধারাই। অনেকেই ভুলে যায় যে, এই তারকারাও রক্ত মাংসের মানুষ। দিনের শেষে তাদেরও হাজারো অনুভূতি চেপে ধরে। ব্যতিক্রম নন মালাইকা অরোরাও (Malaika Arora)। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলারদের সহজ নিশানা। উঠতে বসতে ট্রোল হন। বিশেষ করে হাঁটুর বয়সী প্রেমিক অর্জুন কাপুরের জন্য সমালোচনার শিকার হতে হয় মালাইকাকে।
অনেক কম বয়সে আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মালাইকা। জন্ম হয় দুজনের একমাত্র সন্তান আরহানের। দীর্ঘ ১৯ বছর একসঙ্গে থাকার পর আলাদা হয়ে যান মালাইকা আরবাজ। কতটা কঠিন ছিল সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, তিনি যখন সিঙ্গল মাদার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তখন প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলেন। তবে তার মাঝেও মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করতেন তিনি। কারণ তিনি জানতেন তাঁকে দায়িত্ব নিতে হবে। ছেলে আরহানের তখন মাকেই বেশি প্রয়োজন ছিল। ছেলের কাছে যোগ্য উদাহরণ হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন মালাইকা।
তিনি আরো জানান, ভয় পেয়েছিলেন তিনি এটা ঠিক। কিন্তু তিনি জানতেন যে একদিন একদিন করে এগোতে হবে তাঁকে। কারণ বড় বড় পদক্ষেপ নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। সিঙ্গল মাদার হয়েও নিজে ক্রমাগত কাজ করে গিয়েছেন মালাইকা। তিনি জানান, এমন সময় খুব কম আসে যখন তিনি নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনিশ্চিত থাকেন।
এদিন ট্রোল নিয়েও মুখ খোলেন মালাইকা। তিনি বলেন, তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ট্রোল হয় তাতে খুব চিন্তায় থাকতেন তাঁর মা বাবা। একটা সময় মাঝেমধ্যেই জিজ্ঞাসা করতেন মেয়েকে, তাঁকে নিয়ে কে কী বলেছে। ক্রমাগত কু্ৎসিত কটাক্ষ দেখে দেখে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন মালাইকার বাবা মা।
শেষমেষ তাঁদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তিনি। অনুরোধ করেন, নোংরা মন্তব্যগুলো না পড়তে। তিনি নিজে কোনো ট্রোলেই কান দেন না। মেয়ের পরামর্শ মেনেই এখন আর সমালোচনায় পাত্তা দেন না বাবা মা। আর প্রেমিক অর্জুন কাপুর তো প্রথম থেকেই মালাইকার পাশেই রয়েছেন। আর কী চাই?