‘ভারতের অবস্থা ভয়াবহ’! হিজাব বিতর্কে মুসলমানদের পক্ষেই নোবেলজয়ী মালালা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। কর্ণাটকের পথে হেঁটে শিক্ষাক্ষেত্রে হিজাব নিষিদ্ধ করার দিকে এগোচ্ছে মধ্যপ্রদেশও এহেন পরিস্থিতিতে মুসলিমদের হয়েই মুখ খুললেন মালালা ইউসুফজাই।

কর্নাটকে হিজাব বিতর্ক নিয়ে মঙ্গলবার টুইটারে একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন পোস্ট করেন মালালা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘পড়াশোনা এবং হিজাবের মধ্যে একটি বেছে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে ছাত্রীদের। হিজাব পরে মেয়েদের স্কুলে যেতে নিষেধ করার ব্যাপারটি ভয়ানক।’ খোলামেলা হোক কিংবা ঢাকা পোষাক সবক্ষেত্রেই মহিলাদের ‘অবজেক্টিফিকেশন’-র ধারা অব্যাহত বলেই অভিযোগী পাকিস্তানি নোবেলজয়ীর। ভারতীয় নেতাদেরকে তিনি আবেদন করে বলেন, ‘মুসলিম মহিলাদের মূল সমাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি অবশ্যই অবিলম্বে রুখতে হবে।’

হিজাব নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসে। কর্ণাটকের উদুপির একটি সরকারি গার্লস কলেজের ছয়জন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছিলেন, বোরখা  পরার জন্য তাঁদের ক্লাসে যেতে বাধা দেওয়া হয়৷ এই বিতর্ক ক্রমেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতন। ক্রমেই স্কুল কলেজে গেরুয়া স্কার্ফ, নামাবলি ইত্যাদি গায়ে দিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখান ডানপন্থী ছাত্র সংঠনের সদস্যরা। দেওয়া হয় জয় শ্রীরাম ধ্বনিও। বিতর্ক এমন স্তরে পৌঁছায় যে গতকাল থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ ৩ দিনের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্ণাটক সরকার।

অন্যদিকে কর্ণাটকের বিতর্কের মাঝেই স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করার দিকে এগোচ্ছে মধ্যপ্রদেশ। সেরাজ্যের স্কুলশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দর সিং পারমার এবিষয়ে বলেন, ‘হিজাব স্কুল ইউনিফর্মের অংশ নয়। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সমভাবাপন্নতা এবং শৃঙ্খলা আনতে ইউনিফর্মের বিষয়ে কড়া হওয়া প্রয়োজন। তাই হিজাব নিষিদ্ধ করা উচিত।’ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের স্কুলে কড়া পোষাকবিধি চালু করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। দেশের এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মালালার কথা এবং ঠিক কতখানি কার্যকরী হতে চলেছে তা নিয়েই সত্যিই উঠছে প্রশ্ন।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর