বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারের (Malbazar) মাল নদীতে হড়পা বান কাণ্ডে প্রাণ যায় অসংখ্য মানুষের। একইসঙ্গে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যে হাত লাগান অনেক স্থানীয়রাই। গতকাল মাল বাজারে পৌঁছে গিয়ে উদ্ধারকারীদের সাহসিকতার পুরস্কার হিসেবে এক লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার পাশাপাশি সকলকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরির প্রস্তাব পর্যন্ত দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই ঘটনায় দুইজন উদ্ধারকারীদের আমন্ত্রণ না জানানো এবং আরো বেশ কয়েকটি ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
সম্প্রতি, জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বান আসায় জলের তীব্র গতিতে তলিয়ে যায় অনেকেই। প্রাণ যায় মোট আটজনের, আহত হন বহু। এক্ষেত্রে নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারকার্য চালায় অসংখ্য যুবক যুবতী আর সেই কারণেই জলে তলিয়ে যাওয়া মানুষজনকে বাঁচানো সম্ভব হয়। অবশেষে এই সাহসিকতার পুরস্কারই দেওয়া হয় তাদের।
উল্লেখ্য, গতকাল মালবাজারের আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন হড়পা বান কাণ্ডে উদ্ধারকার্যে সামিল সাত যুবক যুবতীকে মঞ্চেই ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে সরকারি চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়ার পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।
যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে দুজন ব্যক্তি দ্বারা চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আবার অপরদিকে ইতিমধ্যে শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ তরিফুল এবং মহম্মদ ফরিদুলকে উক্ত অনুষ্ঠানে না ডাকা প্রসঙ্গে একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়ে চলেছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মৃতদের পরিবারকেও চাকরির অফার লেটার তুলে দেওয়া হয় বলে খবর।
মালবাজারের হড়পা বান কাণ্ড জলের তীব্র গতিতে প্রাণ হারান মোট আটজন, আহত হন অনেকেই। এক্ষেত্রে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে বলে ইতিমধ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এর মাঝেই সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে পৌঁছে গিয়ে মৃতদের পরিবার এবং উদ্ধারকারীদের আর্থিক সহায়তা এবং চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে উদ্ধারকারীদের হাতে পুরস্কার স্বরূপ চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হলেও তা নিতে রাজি হননি দুইজন ব্যক্তি। এমনকি সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরিতে খুশি নন মহম্মদ মানিক। বলে রাখা ভালো, মালবাজারের দুর্ঘটনার দিন জলের তীব্র গতিতে ভেসে যাওয়া অসংখ্য মানুষকে রক্ষা করেন মহম্মদ মানিক। নিজের প্রাণের পরোয়া না করে মানুষের সাহায্যার্থে নেমে পড়ে ওই যুবক। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পরিবারের দাবি সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগপত্র নয়, কনস্টেবল টাইপের স্থায়ী চাকরি চাই। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছে।”