সুদ সমেত মেটাতে হবে টাকা! পুরসভাকে কড়া নির্দেশ জাস্টিস গাঙ্গুলির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : টাকা দিচ্ছে না পৌরসভা। এই অভিযোগে মামলা দায়ের হলো আদালতেও। প্রায় লক্ষাধিক টাকার চিকিৎসার সরঞ্জাম কিনেও টাকা না মেটানোর অভিযোগ সামনে এসেছে এক পৌরসভার বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, প্রায় বছর তিনেক কেটে গেলেও একটি সংস্থাকে তাদের প্রাপ্য টাকা মেটায়নি মালবাজার পৌরসভা (Malbazar Municipality)। উপায় না দেখে ওই পুরসভার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে সংস্থাটি। সেই মামলা শুনানিতে যত শীঘ্র সম্ভব টাকা মেটানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।

জানা যাচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে সেই মামলা দায়ের হয়। গতকাল বৃহস্পতিবারই ছিল মামলার শুনানির দিন। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২ মাসের মধ্যে বকেয়া টাকা সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে পৌরসভাকে।

সূত্র মারফত খবর, কলকাতার রমা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থার কাছ থেকে বেশ কিছু চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনে মালবাজার পৌরসভা। মোট বিল হয় ১৪ লক্ষ টাকা। সরঞ্জামটি কিনে একটি হাসপাতালে দান করা হয়। অভিযোগ, ২০১৯ সালে কেনা সেই সরঞ্জামের টাকা আজও মেটায়নি পৌরসভা। বহুবার সংস্থার পক্ষ থেকে পৌরসভায় টাকা মেটানোর জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু প্রত্যেকবারই নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় তাঁদের।

সংস্থার আইনজীবী ধীমান কুমার সেনগুপ্ত ও এষা আচার্য জানান, ২০১৯ সালে মালবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি টেন্ডার ডাকা হয়। রিমা এন্টারপ্রাইজ যন্ত্র সরবরাহের বরাত পায়। তারপর সেই যন্ত্রপাতি মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দান করা হয় পৌরসভার পক্ষ থেকে। আইনজীবীরা আদালতে জানান, রমা এন্টারপ্রাইজ নামে ওই সংস্থা খুবই অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে। তাই ১৪ লক্ষ টাকা বকেয়া থাকলে, তাদের পক্ষে ব্যবসা চালানো প্রায় অসম্ভব। একাধিক অসুবিধার মধ্যে পড়ছে কোম্পানিটি।

অন্যদিকে, মালবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, সরঞ্জামটি খারাপ ছিল। ঠিক ভাবে কাজই করে না। তার প্রমাণ স্বরূপ বেশ কিছু নথিও আদালতে পেশ করা হয়। তবে বাকি থাকা বিলের কথা স্বীকার করে নেন পৌরসভার আইনজীবীরা।

আদালত নির্দেশ দেয় আগামী ২ মাসের মধ্যে মালবাজার পৌরসভাকে বাকি থাকা টাকার ৫ শতাংশ সুদ সমেত মিটিয়ে দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন, রমা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি কৃষ্ণ দত্তবণিক। তিনি জানান, প্রথম থেকেই আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা ছিল। এই নির্দেশের পর কিছুটা স্বস্তি পেলেন তাঁরা। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, হাসপাতালে দান করা হবে বলে ন্যুনতম লাভ রেখেই বিক্রি করা হয় ওই চিকিৎসার যন্ত্র। কিন্তু সে টাকাও না পাওয়ায় অত্যন্ত অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে আদালতের নির্দেশে খুশি তারা।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর