বাংলা হান্ট ডেস্ক: অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই যেন একটা থমথমে ভাব বিরাজ করছে। অযোধ্যায় এমনই ধারণা ছিল নেটিজেনদের। কিন্তু একদমই না। একাধিক মুসলিম নেতারা পক্ষে-বিপক্ষে কোন দিকে না গিয়ে সমান্তরাল দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন। যা দেখে ভারতের জনসাধারণের মনে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে সত্যি ভারত সর্ব ধর্মের দেশ। কিন্তু এবার বিষয় হচ্ছে আদিনা মসজিদ। নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্মপ্রসারে দায়িত্বে থাকা স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, “আমাদের পরবর্তী টার্গেট কাশী মথুরাসহ দেশের ৩২ হাজার মন্দিরকে উদ্ধার করা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই কাজ শান্তিপূর্ণভাবেই করতে চায়। ওই রায়ে গান্ধিজীর ‘রাম রাজ্য’র Rahman স্বপ্ন সফল হল।”
এই তালিকাতে নাকি রয়েছে মালদা জেলার আদিনা মসজিদ । মালদহ জেলার গাজোল থানার ৩৯ নং মৌজায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় মসজিদ আদিনা মসজিদ। বলা হয় এই মসজিদ শুধু বাংলার সর্বাধিক আয়তনের মসজিদই নয় বরং পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় সর্বাধিক আয়তনের মসজিদ। এর স্থান দিল্লীর জামি মসজিদের পরেই। আদিনা মসজিদের অভ্যন্তরেও নাকি প্রত্নত্বাত্তিক প্রমাণ পাওয়া গেছে যা দেখে বোঝা যায় যে সেটা আসলে এক সময় মন্দির ছিল। এবং এই আদিনাথ মন্দির থেকেই নাকি আদিনা কথাটি এসেছে।
যদিও লিপি বদ্ধ ইতিহাস বলছে সুলতান সিকান্দার শাহ ১৩৬৪ থেকে ১৩৭৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই দশ বছর ধরে তৈরি করান আদিনা মসজিদ। এই ইতিহাসের সত্যতা কতটা তা এখনও গভীরে বিশ্লেষণের সময় রয়েছে। কিন্তু এটি সেভাবে সুপরিকল্পিত ভাবে তৈরি নয়। এর বিভিন্ন অংশ হিন্দু মন্দির থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কিছুটা মন্দিরের স্থাপত্য শৈলির প্রভাব রয়েছে এতে। এর সত্যতা এখন ঐতিহাসিকরা যাচাই করবেন। তবে যাচাই এর পরে সিদ্ধান্ত কি হবে কি হতে চলেছে এর ভবিষ্যৎ তা সময়ের রথচক্রে উত্তর দেবে