‘নির্মল জেলা”র তকমা নিতে ট্যাংক ছাড়াই শৌচাগার নির্মাণ! বাধ্য হয়ে মাঠেঘাটেই যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নির্মল বাংলা প্রকল্পে বড়সড় গাফিলতির চিত্র এবার সামনে এল। কোথাও শৌচাগার তৈরি হলেও বসানো হয়নি ট্যাংক আবার কোথাও শৌচাগারের নামে দেওয়া হয়েছে শুধু ইট বা বালি। শুধুমাত্র শৌচাগারের ছবি দেখেয়েই নির্মল জেলার তকমা দিয়েছে প্রশাসনের। চরম দুর্দশার মধ্যে জীবন কাটানোর ছবি ফিরে এলো আবার। শৌচাগারের অভাবে ফের পুরনো নিয়মে মাঠে ঘাটে শৌচকর্ম সারতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

বেশ কিছুদিন আগে, মালদা জেলাকে নির্মল জেলার তকমা দেয় প্রশাসন। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে ধরা পরল এক ভয়াবহ ছবি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কোথাও কোথাও ট্যাংক ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে শৌচাগার, আবার কোথাও শুধু ইটের গাঁথনি করে আর এগোয়নি কাজ।

মালদা জেলার যাত্রাডাঙ্গা গ্রামের এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, দেড় বছর আগে শৌচাগার তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হলেও তৈরি হয়নি শৌচাগার। শুধুমাত্র কিছু ইট ও সিমেন্ট এনে ফেলে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে আরও এক গ্রামবাসী অভিযোগ, শৌচাগারের সাথে ট্যাংক না থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এর ফলে পুরনো নিয়মে মাঠে-ঘাটে তাদের শৌচকর্ম করতে যেতে হচ্ছে। প্রতিমা চৌধুরী নামে একজন গ্রামবাসীর কথায়, তাকে শৌচাগারের বদলে শুধুমাত্র ইট ও বালি দেওয়া হয়েছে। সেই ছবি প্রশাসন থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আশ্বাস দেওয়া হয় কিছুদিনের মধ্যেই শৌচাগারের কাজ শেষ হবে। কিন্তু দেড় বছর হয়ে গেলও সেই প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি।

অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দায় চাপিয়েছেন প্রশাসনের উপর। যাত্রাডাঙ্গা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান নুর হক জানিয়েছেন, “প্রশাসনের লোকজন আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেনি। এই প্রকল্পের দায়িত্বে কারা আছেন তা জানিনা। তারা নিজেরা এসে নিজেদের মতো কাজ করেছে। এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে সম্পূর্ণভাবে কাজ শেষ হয়নি।”

গাফিলতির কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়ে নূর হকের বক্তব্য, “আমাদের মেম্বাররা অনেক সময় এই কথা জানিয়েছেন। উপর মহলে এই বিষয়ে জানানো হলেও কোন সমাধান হয়নি। এটা ঠিক নয়। প্রশাসনের এই বিষয়টি দেখা উচিত।” খুব দ্রুত তিনি এই বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। যাত্রাডাঙ্গা গ্রামের মানুষের দুর্দশা কবে ঘোচে এখন সেটাই দেখার বিষয়।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর