বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিনকয়েক আগেই বড়মুখ করে ১০০ দিনের বকেয়া (100 Days Work) টাকা মেটানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের উপর ভরসা করে লাভ নেই। রাজ্য সরকারই মেটাবে উপভোক্তাদের টাকা। ২১ লক্ষ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে সেই টাকা। শুনে অবাক হবেন যে, ঘোষণা শেষ হল কী হল না, দুর্নীতি (Scam) শুরু হয়ে গেল।
দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ২১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বকেয়া টাকা। তার আগে সার্ভে করে দেখে নেওয়া হবে আসল উপভোক্তাদের পরিচয়, ব্যাঙ্ক ডিটেইলস। সেই প্রক্রিয়া শুরু হতেই বেরিয়ে এল দুর্নীতির পঁচা গন্ধ।
সূত্রের খবর, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকোডাঙা গ্রামে শুরু হয়েছে দুর্নীতি। অভিযোগ, প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম নেই, তালিকায় নাম জুড়ছে এলাকার বিত্তশালীদের। অভিযোগ উঠেছে ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই অরাজকতার প্রতিবাদ করতে গেলে বিক্ষোভকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুপারভাইজারের মেয়ের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : ভোটের আগে বড় ধাক্কা, কংগ্রেস ছেড়ে BJP তে নাম লেখালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি বিভাকর
উত্তেজনা চরমে উঠতেই বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় প্রশাসনের সাথে। যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, এখনও নতুন তালিকা তৈরি হয়নি। সার্ভে চলছে। যাদেরই এফটিএ করা আছে তাদের অ্যাকাউন্টেই টাকা ঢুকবে। যদিও ন্যায্য উপভোক্তাদের দাবি, ঠিকভাবে সার্ভে হচ্ছেনা। তালিকাতে তাদের নামের জায়গায় নাম রয়েছে, অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি রাহানুল হক, অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি রাশেদুল হক, এক সরকারি কর্মচারি ফজলুল হকের নামও রয়েছে এই তালিকায়।
আরও পড়ুন : ‘এবার BJP চাইবে আমিও দলে যোগ দিই’, ভোটের মুখে বিষ্ফোরক দাবি প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রর
এমনকি এক মৃত ব্যক্তির নামও রয়েছে বলে দাবি উপভোক্তাদের। বিক্ষোভকারীরা বলেন, এতদিন কাজ করার পর তারা টাকা পেলেন না। আর এখন টাকা দেওয়া হচ্ছে তাও আবার ভুল লোককে। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মন্ডল জানিয়েছেন, নতুন কোন তালিকা বানানো হয়নি। যাদের এফটিএ করা ছিল তাদের নাম এসেছে।