বাংলাহান্ট ডেস্ক : মালদহে নাবালিকার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত। ভিনরাজ্যে পালানোর চেষ্টা করেও লাভ হল না কিছুই। অভিযুক্ত যুবক তথা স্থানীয় ওই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ রায়হান।
এদিন নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়িতে যান মালদহ তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি এবং মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী হলেও তাকে রেয়াত করা হবে না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার গ্রামের মহিলা এবং নাবালিকাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে ধৃত রায়হানের বিরুদ্ধে।
মালদা স্যোশাল ওয়ালফেয়ার অফিসার মৌসুমি দত্তরায় জানিয়েছেন, ‘নির্যাতিতা কিশোরীর উপর ভয়াবহ অত্যাচার করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক এর আগেও গ্রামের বহু মহিলাকে উত্ত্যক্ত এবং তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে। অভিযুক্তের দুই দাদা আসরাফুল এবং তাসরিফ সিভিক ভলেন্টিয়ার। তারা ধর্ষণে সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে পালাতেও সাহায্য করে অভিযুক্তকে। তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুরো ঘটনাটি পর্যালোচনা করে সার্বিক একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে উক্ত আধিকারিকের।
উল্লেখ্য, এই বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে নির্যাতিতা কিশোরী। সংসারে চরম টানাটানি থাকলেও মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ করেননি দিনমজুর বাবা। সোমবার ঘটনার সময় কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। বাড়িতে ছিলেন না নির্যাতিতার মা ও। ওই সময় ফাঁকা বাড়িতে একটি বিছানায় শুয়ে ছিল কিশোরী। আর সেই সুযোগ নিয়েই ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। কোনও মতেই দরজা খুলতে চায়নি কিশোরী। শেষ মেষ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে রায়হান। তারই গায়ের ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে তারপর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালানো হয় ছোট্ট মেয়েটির উপর। তার আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু ততক্ষনে যা হবার তা হয়ে গিয়েছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে বিছানা। বিছানায় পড়ে কাতরাচ্ছে কিশোরী। এরপরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।