বাংলাহান্ট ডেস্ক : মলদ্বীপের (Maldives) আকাশে অনুমোদনহীন উড়ান নিয়ে অভিযোগ করেছে মলদ্বীপ। এবার সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মালে-তে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মুখ খুলল। মলদ্বীপের সমস্ত অভিযোগ রীতিমতো খারিজ করে দিয়েছে মালে-তে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। বলা হয়েছে যে, দ্বীপ রাষ্ট্রের নিয়ম মেনেই মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতের (India) প্রত্যেকটি বায়ুযান চলাচল করে।
অনুমোদন না নিয়েই ২০১৯ সালে ভারতের হেলিকপ্টার চালকরা মলদ্বীপের আকাশে উড়ান উড়িয়েছিল। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছেন মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসান মামুন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মালে এবং দিল্লির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে যে সকল শর্ত গৃহীত হয়েছে, মলদ্বীপে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই কাজ করে ভারতের বায়ুযানগুলি।
আরোও পড়ুন : দেশ জুড়ে ছুটবে একসাথে ১৯ টি বন্দে ভারত! সোনায় সোহাগা এই ৪ রাজ্যের, তালিকায় উঠল বাংলাও
মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ভারতীয় নৌসেনার একটি হেলিকপ্টার ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর আকাশে উড়েছিল মলদ্বীপ সামরিক বাহিনীর অনুমতি না নিয়েই। তবে ভারত এই অভিযোগ নাকচ করে জানায়, মলদ্বীপের সামরিক বাহিনীর থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই ওই উড়ান উড়েছিল। যদিও বিপত্তির কারণে হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণ করতে থিমারাফুশিতে।
আরোও পড়ুন : কনফার্ম! এবার হাওড়া থেকে এই সময়ে চলবে ‘স্পেশাল’ সুপারফাস্ট, বড়সড় ঘোষণা রেলের
ভারতের দাবি, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের আলোচনা করে তবেই থিমারাফুশিতে অবতরণ করে ভারতী হেলিকপ্টারটি। গত ১১ মে মলদ্বীর সামরিক বাহিনী অভিযোগ করে, গত প্রেসিডেন্টের সময়কালে ঘটা এই ঘটনায় ভারতীয় নৌসেনার হেলিকপ্টার প্রয়োজনীয় অনুমতি নেয়নি। এমনিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা করার জন্য কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়।
সেক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমান দেওয়া হয় মলদ্বীপকে। ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ান ঐ তিন বায়ুযান পরিচালনা করার জন্য মলদ্বীপে মোতায়েন ছিলেন। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ১০ মে পর্যন্ত ওই সেন্স জওয়ানদের সরাতে সময়সীমা বেঁধে দেন। তার একদিন পর অর্থাৎ ১১ এমএ ভারতীয় বায়ু সোনার হেলিকপ্টার নিয়ে মলদ্বীপের বাহিনী অভিযোগ করে।