বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ আড়াই দশক পর কংগ্রেসের (Congress) প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরে অন্য কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যা দেশের রাজনীতিতে অন্যতম নাটকীয় মোড় হতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দেশের বুকে ভারতীয় জনতা পার্টিকে পরাজিত করে পুনরায় একবার ক্ষমতায় বসতে তৎপর কংগ্রেস। বিগত বেশ কিছু সময় ধরে দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক অস্বস্তি সৃষ্টি হলেও ইতিমধ্যেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে গিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
পাশাপাশি পদ্মফুল শিবিরের বিরুদ্ধে গোটা দেশজুড়ে বর্তমানে ‘ভারত জোড়ো পদযাত্রা’-য় শামিল হয়েছে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। এর মাঝেই বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত রয়েছে পরিস্থিতি। এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং দ্বিগ্বিজয় সিং দ্বারা ভোটে লড়াই করার কথা ঘোষণা করা হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে সরে যান দুজনেই। এরপরেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করেন মল্লিকার্জুন খড়গে এবং শশী থারুর।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে সরগরম রাজনীতি। দেশের মোট ৩৬ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র এবং ৬৭ টি বুথে ভোটগ্রহণ পর্ব চলে, যেখানে রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি অসংখ্য কংগ্রেস নেতারা মতদান করে। সূত্রের খবর, ভোটগ্রহণের জন্য ৯৪৩ জন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করে দেশের প্রধান বিরোধী দল।
এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় খবর, দীর্ঘ ২৪ বছর পর এই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি হতে চলেছেন মল্লিকার্জুন খড়গে। এক্ষেত্রে শশী থারুরকে বিপুল পরিমাণ ভোটে পরাজিত করে সভাপতি পদে বসতে চলেছেন খড়গে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শশী থারুর পেয়েছেন ১০৭২ টি ভোট, যেখানে বাকি ৯৩১৫ ভোটে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এলেন সোনিয়া-অনুগত খড়গে। ফলে বিশেষজ্ঞদের মতে, গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতি পদে না থাকলেও ক্ষমতার রাশ থাকতে চলেছে তাদের হাতেই।