বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যপালকে স্যোশাল মিডিয়ায় ব্লক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই নিয়েই তোলপাড় বাংলার রাজ্য রাজনীতি। রীতিমতো হৈচৈ দিকে দিকে। এমনকি খোদ মুখ্যমন্ত্রী অবধি খবরটি জানিয়েছেন প্রেস কনফারেন্স ডেকেই। এবার সেই ব্লক করা প্রসঙ্গে তাঁকে আরেক হাত নিলেন রাজ্যপাল।
এদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কার্যতই ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মকতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ট্যুইটারে তিনি ব্লক করতে বাধ্য হয়েছেন রাজ্যপালকে। সব কিছুতেই ‘নাক গলিয়ে’ ‘ডিসটার্ব’ করছেন তিনি এই কথা বলে মমতা বলেন,’উনি কী মনে করেন নিজেকে? উনি সুপার পাহারাদার আর আমরা বন্ডেড লেবার? নিজে তো একজন কাউন্সিলরও নন’।
রাজ্যপাল যে মনোনীত এবং মন্ত্রীরা নির্বাচিত একথাও মনে করান তিনি। এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মা ক্যান্টিনে কীভাবে ডিম ভাত খাওয়াই সেই হিসেবও চাইছেন তিনি, নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়েই রোজ নতুন ছুতোয় রাজ্য সরকারকে ডিসটার্ব করার পথ খোঁজেন ভদ্রলোক।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই বিবৃতির জেরে কার্যতই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। অনেকের মতেই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের এই রাগ-অনুরাগের কাহন কার্যতই অভূতপূর্ব এবং নজিরবিহীন। এবার মমতার এই মন্তব্যের পরই ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন রাজ্যপাল ধনকড়। তিনি সেখানে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫৯ এ বলা আছে, সাংবিধানিক নিয়ম নীতি এবং আইনের শাসনকে কেউ ব্লক করতে পারেন না। দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত সংবিধানের প্রতি আস্থা রাখা। মমতার ‘ডিসটার্ব’ থিওরির প্রেক্ষিতেই তাঁকে খানিক সবক শেখাতে চেয়েছেন ধনকড়।
পুরো ব্যাপারটিকে অবশ্য নিন্দার চোখের দেখছে বিরোধীরা। তাঁদের মতে রাজ্যপাল যা করেন তা তাঁর পদমর্যাদা বলে করেন। তাঁর অধিকার আছে প্রশ্ন করার, সংবিধান রক্ষা করার। ট্যুইটারে রাজ্যপালকে ব্লক প্রসঙ্গে অনেকেরই দাবি, পশ্চিমবঙ্গে বহুদিন ধরেই ব্লকড আইনকানুন এবং সাংবিধানিক অধিকার। আজকের এই ঘোষণা শুধুই উপলক্ষ্য মাত্র।