বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ যখন গোটা বিশ্বে পাকিস্তান বারবার বেইজ্জত হচ্ছে, আর ভারত পাকিস্তানকে গোটা বিশ্বে একঘরে করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগে আছে। তখন পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতবাদী আর জঙ্গিরা না! ভারতের কিছু বুদ্ধিজীবী আর নেতারা ইন্ধন যোগাচ্ছে। আর পাকিস্তানও তাঁদের ভরসায় আছে। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকে জম্মু কাশ্মীর আর কোন বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত রাজ্য নেই। জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের পুনর্গঠন করে, সেটিকে কেন্দ্র শাসিত রাজ্য বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরের সাথে সাথে লাদাখও কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের দরজা পেয়েছে। পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চীন সমেত প্রতিটি দেশের দরজায় কড়া নেরেছে, কিন্তু সব যায়গা থেকেই তাঁদের বেইজ্জত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।
রাশিয়া জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ মামলা। এটা নিয়ে তাঁরা নাক গলাবে না। এছাড়াও মালদ্বীপ আরব সমেত বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশও ভারতকে সমর্থন জানায়। রাষ্ট্র পুঞ্জের মহা সচিব অ্যান্তনিও গুতিরেসও এই ব্যাপারে কোন কিছু বলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি কাশ্মীর মামলা নিয়ে নাক গলাবেন না। কারণ এটি দুই দেশের মামলা এখানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের দরকার নেই।
কংগ্রেসের নেতা তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিক মামলা বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এই ইস্যু রাষ্ট্রপুঞ্জে বিচারাধীন তাই সরকার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে অনৈতিক কাজ করেছে। পাকিস্তানের রাজনেতা এবং সাংবাদিক মুশাহিদ হুসেইন অরুন্ধুতি রয়, কংগ্রেস, বাম দল এবং মমতা ব্যানার্জীর উপরে ভরসা রাখছে। উনি বলেছেন, এরা সবাই পাকিস্তানের সাথে আছে।
https://twitter.com/NamanAg295/status/1161157401355046913
মুশাহিদ জানান, এরা সবাই পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল আর এনারা পাকিস্তানের সাহাজ্য করতে পারবে। ভিডিওতে ১৭ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে আপনি দেখতে পাবেন যে, টিভি অ্যাঙ্কর যখন জিজ্ঞাসা করছেন, কাশ্মীরে মুসলিমদের সমস্যা কি করে সমাধান হবে? তখন এই প্রশ্নের জবাবে হুসেইন বলছেন, ভারত অনেক বড় একটি দেশ আর সেখানে সবাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থক না। হুসেইন বলে, পাকিস্তানকে ধৈজ্য ধরতে হবে কারণ অরুন্ধুতি, মমতা আর কংগ্রেসের নেতারা পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল তাঁরা পাকিস্তানের সাহাজ্য করবে।