‘বাধা ছাড়াই উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছে মানুষ”, বিপুল জয়ে রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা জুড়ে সবুজ ঝড়। আকাশ বাতাস সবুজ হয়ে উঠেছে আবির রঙে। ১০৮ টি পুরসভার মধ্যে ১০২টিতেই ফুটেছে ঘাসফুল। একমাত্র হাতছাড়া হয়েছে দার্জিলিং এবং তাহেরপুর পুরসভা। দার্জিলিং এ পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছে নতুন হামরো পার্টি। অন্যদিকে তাহেরপুরে উড়ছে লাল নিশান। বাকি ৪ টি পুরসভায় তৈরি হয়েছে ত্রিশঙ্কু। কার্যতই ‘ঐতিহাসিক জয়’ তৃণমূলের। এবার এই জয়ের জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন এই জয়ের পর ট্যুইট করেই রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,’মা মাটি মানুষকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আরও একটি বিপুল জয়ের জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। পুরভোটে জয়ী প্রার্থীদের সবাইকে অভিনন্দন। জয় আমাদের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা বাড়াক। জয়ী হয়েও আমরা যেন বিনয়ী থাকতে পারি। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে রাজ্যের শান্তি, উন্নতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করি।’

আগামী কালই সমাজবাদী পার্টির প্রচারে বারাণসীতে উড়ে যাচ্ছেন মমতা। সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার সারবেন তিনি। এই প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বারাণসী যাওয়ার আগে আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে বাংলা। মানুষের আশীর্বাদ নিয়েই উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম, বর্ধমানে কিছু হয়নি। কোথাও কিছু ঘটেনি, মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। ১১ হাজার ২৫টি বুথের মধ্যে মাত্র ৭টি বুথে অভিযোগ উঠেছে। দার্জিলিং-এ আমরাও খাতা খুলেছি, ৫টি দলের সঙ্গেই আমাদের সুসম্পর্ক। আগামী দিনে জিটিএ নির্বাচন হবে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেন্দ্রকে বলেছি। দার্জিলিং-র পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বলেছি, কেন্দ্রের জন্য আটকে আছে। জয়নগরে তৃণমূল কখনও পুরসভার ভোটে জেতেনি। এই বিপুল ভোটে জয় আমাদের মানুষের কাজ করতে এগিয়ে দেবে।’

বিরোধীদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। আরও জানান, ‘ যত জিতব, ততই যেন আমরা নম্র হই। মানুষের ছোটখাট কাজ যেন এলাকাতেই হয়ে যায়। মিছিল-মিটিং-বিক্ষোভ সারাজীবন করে পঙ্গু করে দিয়েছে বিরোধীরা। ৩টি পার্টি একসঙ্গে নাকি বলেছে, দেউচা করতে দেব না। বলছে, দেউচা, তাজপুর হলে আর ২০ বছর ক্ষমতায় আসতে পারব না’।

প্রসঙ্গত, পুরভোটে দলের তরফে টিকিট না পেয়ে দল ছেড়েছিলেন বহু জেলাস্তরের দুঁদে নেতা। তাঁদের বেশিরভাগই নির্দলে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই নির্দল প্রার্থীদের দলে কোনও জায়গা নেই, এমনটাই আগে জানিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এঁদের কয়েকজন নির্দলের টিকিটেই জিতেছেন পুরভোটে। তাঁদের কি ঘরে ফেরাবে তৃণমূল? সে সিদ্ধান্ত রাজ্য কমিটিই নেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর এই ‘কিচ্ছু হয়নি’ তত্ত্বে যে রে রে করে উঠেছে বিরোধী শিবির তা বলাই বাহুল্য। নিন্দুকদের অবশ্য দাবি এমন বিপুল জয়লাভের পিছনে তৃণমূলের ছাপ্পা ভোট এবং বুথ দখলের অবদান অনস্বীকার্য।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর