বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিশ্রুতি মতোই সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের পাশে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রত্যেককে এদিন ঢালাও আশ্বাসবাণী দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখনই পুরোপুরি আশায় থাকতে পারছেন না চাকরিহারাদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন চাকরিহারারা যাতে চাকরি ফেরত পান সেই প্রক্রিয়াও আগামী দু’মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সার্ভিস ব্রেক হবে না। সেই সাথে তিনি সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষক কর্মীদের স্বেচ্ছায় স্কুলে পরিষেবা দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন।
মমতা (Mamata Banerjee) আশ্বাস বাণীতে বিরাট বিভ্রান্তি শিক্ষকমহলে
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষককর্মীদের ভলেন্টিয়ারি সার্ভিস দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। যা শোনার পর থেকেই নতুন জল্পনা তৈরী হয়েছে রাজ্যের শিক্ষকমহলে। তবে মুখ্যমন্ত্রী স্কুলগুলিতে স্বেচ্ছায় পরিষেবা দেওয়ার আবেদন জানালেও চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ কোনরকম ভলেন্টিয়ারারি সার্ভিস দিতে রাজি নন।
গতকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বার্তা শোনার পর প্রত্যেকের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকের মধ্যেই ভলেন্টিয়ার সার্ভিস নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চাকরিহারাদের একাংশ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভলেন্টিয়ার সার্ভিস কথাটা প্রশ্নবোধক রেখে গিয়েছেন। যেহেতু এটা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এই কারণেই শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তার এজলাসেই শুরু, দিশা পেতে এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ চাকরিহারা শিক্ষকরা!
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বললেও, ভলেন্টিয়ারি সার্ভিস করতে রাজি নন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য বিষয়টা শুধু টাকার নয়, তাঁদের সম্মানেরও বিষয়। তাই তাদের স্পষ্ট দাবি,’আমরা চোর অপবাদ নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারব না। তবে তাঁরা জানিয়েছেন একটা ব্যাপারে তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন যে কোনো যোগ্য শিক্ষকের চাকরি যাবে না।
সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। জানা যাচ্ছে, আগামী শুক্রবার এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিনিধিরাও। থাকবে রাজ্যের ‘ল সেল’ও। তবে ভলেন্টিয়ারি সার্ভিস ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে চাকরিহারাদের মনে। বিশেষ করে সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি বাতিলের পরেও স্কুলে গেলে বেতনের কি হবে? এই ব্যবস্থা কতদিন চলবে? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যের শিক্ষকমহলে। এছাড়াও যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা সুপ্রিম কোর্ট দেবে, না স্কুল সার্ভিস কমিশন তা নিয়েও সন্দিহান রাজ্যের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা।