বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগ গড়ে তুলতে ময়দানে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে রাজ্যের প্রতিটি পঞ্চায়েতে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বাড়ি-ঘর ছেড়ে টানা দুমাস বাইরে কাটাবেন অভিষেক। সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নবজোয়ারের শুরুর দিক থেকেই শরীরের অবনতি হয়েছে নেতার। একদিকে যেমন গলা ভেঙেছে অন্যদিকে চোখে মুখে পড়েছে বসেছে ক্লান্তির ছাপ। তবুও নিজের লক্ষ্যে অনড় তৃণমূলের নম্বর টু। এই অবস্থায় অভিষেককে সরাসরি ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি স্নেহের ধমকও দিলেন নেতাকে।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? ফোনে মমতা কী বলেছেন দুর্গাপুরের অধিবেশন থেকে সেকথা নিজেই খোলসা করে অভিষেক বলেন, ‘নেত্রী ফোন করেছিলেন। উনি বললেন, আবহাওয়া খুব খারাপ। কর্মসূচি দু’একদিন বাদে করতে। আর তোমার গলা ভেঙে গিয়েছে, শরীর খুব খারাপ হয়েছে। কয়েকদিন বিশ্রাম নাও। কিন্তু নেত্রীকে আমি বললাম, রাজনীতির ছাত্র হিসেবে যেটা শিখছি, তা আরও শিখতে চাই। তৃণমূলে নবজোয়ার এখন জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে।’
এরপর দলের কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘ শুধুমাত্র নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নয়। আশি বছর আগে একজন বলেছিলেন, দিল্লি চলো। তিনি লড়াই না করলে ইংরেজ সরকার সরত না। আর আজ এক মহিলা বলছেন আশি বছর পরে দিল্লি চলো। তিনি মানুষের অধিকারের স্বার্থে যেতে বলছেন। কে বিরোধিতা করল কে কী করল, বলল তাতে মন দেবেন না, কাজে মন দিন। মনে রাখবেন মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে। তবেই আশীর্বাদ মিলবে।’
এরপর রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে অভিষেক বলেন, ” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুথে বুথে ঘুরছেন। দুয়ারে সরকার নিয়ে যাচ্ছেন। আর পঞ্চায়েত প্রধানের অফিসে গেলে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেও দেখা মিললো না, ফোন করলে পাওয়া গেল না। এই সবের মেয়াদ তাই তিন মাস। যদি ভাবেন ভোটের সময় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে যাব পরে কলকাতার কোনও নেতাকে ধরে ফের ঢুকে যাব সেটা হবে না। তাকে আমার মৃতদেহের ওপর দিয়ে ঢুকতে হবে। যে তৃণমূল নিজের জীবনকে বাজি রেখে সিপিএমকে উৎখাত করেছিল সেই তৃণমূল দলের জন্য কাজ করবে। সেটাই নতুন তৃণমূল কংগ্রেস।’