বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল (CAB) সংসদ আর রাষ্ট্রপতির থেকে মঞ্জুরি পাওয়ার পর এবার এটি সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট আইন (CAA) হয়ে গেছে। নতুন আইনের কারণে পূর্বত্তরের রাজ্য আর পশ্চিমবঙ্গ সমেত কয়েকটি রাজ্যে কিছু মানুষ এবং রাজনৈতিক দল গুলো বিরোধিতা করছে।
বিরোধ প্রদর্শন জনতার সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু কেরল, পাঞ্জাব, ছত্তিসগড় আর বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে দ্বারা এই আইন না মানা সংবিধান আর যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) আর অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং নেতাদের বোঝা উচিৎ যে রাজ্যের শাসন হাই কম্যান্ডের জায়গায় সাংবিধানিক ব্যাবস্থা দিয়ে পরিচালনা করা উচিৎ।
কেন্দ্র আর রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতার বণ্টন সংবিধানের ৭ নং ধারার বিস্তারিত ভাবে বলা আছে। ৭ নম্বর ধারায় প্রথম তালিকায় কেন্দ্র সরকার মানে সংসদের অধিকার, দ্বিতীয় তালিকায় রাজ্য সরকার মানে বিধানসভার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। নাগরিকতা আর বিদেশীদের নিয়ে ৭ নম্বর ধারার ১৭,১৮ আর ১৯ এ কেন্দ্র সরকারকে সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সংবিধানের ১১ ধারা অনুযায়ী, নাগরিকতা নিয়ে সংসদেই আইন বানানোর অধিকার আছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংবিধানের শপথ নিয়েছেন, তাহলে এখন ওনারা এই সংবিধানের বিরুদ্ধে কি করে যাচ্ছেন?
সংবিধান অনুসারে সংসদ দ্বারা বানানো আইন অথবা সরকারের নির্ণয়কে সুপ্রিম কোর্ট অথবা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো যেতে পারে। নতুন আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করা যেতে পারে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র দ্বারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করা হয়েছে। আরেকদিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারক এই মামলা নিয়ে জলদি শুনানি করার আবেদন খারিজ করেছেন।
এখন কথা হল, CAB যেহেতু এখন বিলের পরিবর্তে আইনের রুপ নিয়ে নিয়েছে, সেহেতু এই আইনের বিরোধিতা করা আর সংবিধানের লঙ্ঘন করা একই ব্যাপার হয়ে যাবে। একদিকে বিজেপি বিরোধী দল গুলো বরাবরই বিজেপির উপর সংবিধান না মানার অভিযোগ তুলে এসেছে, আর এখন সেই বিরোধী দল গুলোই এখন বিজেপির বিরোধিতা করতে করতে সংবিধানকে অপমান করা শুরু করেছে। যেহেতু CAB এখন একটি আইন, সেহেতু এখন এই আইনকে সবার মানতেই হবে।