বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই নিজেদের একাধিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বেশ কিছুদিন হল জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসেছেন ধর্নায়।
মমতার (Mamata Banerjee) মুখে ওঠে আসা ‘এসমা’ কী জানা আছে?
এই আবহে দু’দুবার মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সাথে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে একাধিক জটিলতায়। গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পৌঁছে যান জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নাস্থলে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার অনুরোধ জানান।
তবে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এও আশ্বাস দেন যে তিনি আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে ‘এসমা’ প্রসঙ্গও। মুখ্যমন্ত্রী জানান যে তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে ‘এসমা’ (Essential Services Maintenance Act) প্রয়োগ করবেন না। তারপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই ‘এসমা’ (ESMA)।
আরোও পড়ুন : সিনেমার ফ্লপ নায়ক, বড়পর্দায় ধাক্কা খেয়ে ফের সিরিয়ালেই ভাগ্য পরীক্ষা আদৃতের!
চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলে প্রয়োগ করা যেতে পারে ‘এসমা’। এই আইন প্রয়োগ করে নিষিদ্ধ করা যায় কর্মবিরতি বা ধর্মঘট। পাশাপাশি সরকার কর্মচারীদের ওভারটাইম করতেও বাধ্য করাতে পারে ‘এসমা’ প্রয়োগ করে। ১৯৬৮ সালে তৈরি হওয়া এই আইন সংশোধন করা হয় ১৯৮১ সালে। এই আইন লঙ্ঘন করলে ৬ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে লংঘনকারীর।
পাশাপাশি লংঘনকারীকে উৎসাহ দিলে সেই ব্যক্তির এক বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে। মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (রেগুলেশনস, ২০০২)-র ২ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, যে কোনও অবস্থায় মুমূর্ষ রোগীর চিকিৎসা করতে অস্বীকার করতে পারেন না চিকিৎসক। ‘এসমা’ আইন প্রয়োগ করা যায় চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে।